সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সুবিধাভোগী অভিভাবকরা কোনরকম ভুল-ভ্রান্তি ও প্রতারণার শিকার যাতে না হন সে জন্য এ নির্দেশনা।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কমকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. নগদ অ্যাকাউন্টটি (যেটি ২০২০-২১ অর্থবছরে খোলা হয়েছিল) সচল এবং পিন রিসেট করে গোপন রাখতে হবে।
২. অ্যাকাউন্ট হোল্ডার/সুবিধাভোগী কোন অবস্থায়ই তার পিন নম্বর অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবে না।
৩. অভিভাবক তার নগদ অ্যাকাউন্ট নম্বরের মোবাইলটি নিজের কাছে রাখবেন এবং মেসেজ দেখবেন। সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে অবশ্যই টাকা ক্যাশ আউট করতে হবে।
৪. সুবিধাভোগীর মোবাইল অথবা সিম কার্ড হারিয়ে গেলে বা অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে থাকলে তা দ্রুত বন্ধ করে সিম কার্ড পরিবর্তনের বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপবৃত্তি বিভাগে জানাতে হবে।
৫. যে কোন সমস্যায় অভিভাবক-সুবিধাভোগী সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।
জানা গেছে, শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প-তৃতীয় পর্যায়ের গত ২০২০-২১ অর্থবছরে উপবৃত্তি ও কিটসের অবিতরণ ৮৬৪ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা প্রকৃত সুবিধাভোগীদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানোর জন্য শিগগিরই কাজ শুরু হচ্ছে।
২০২০ সালে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীকে নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তি ও ভাতা বিতরণের জন্যে দায়িত্ব দিয়ে একটি চুক্তি করে সরকার। শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন এবং শিক্ষার্থীর মায়ের মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে একটি ডেটাবেজ তৈরি করার মাধ্যমে পরে ২০২১ সালের প্রথম ভাগ থেকেই স্বচ্ছতার সঙ্গে উপবৃত্তি ও ভাতা বিতরণ শুরু হয়।
অর্থাভাবে শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপবৃত্তি দেয়ার ব্যবস্থা নেন। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে বৃত্তির অর্থ দেয়া হয়।