শিক্ষার্থীদের মুখস্ত বিদ্যা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জিপিএ-৫ মানেই মেধাবী নয়। অনেক শিক্ষার্থী আছে, যারা জিপিএ-৫ না পেয়েছে অনেক সৃজনশীল।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাই সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ইউনিটির সদস্য সন্তানদের মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রধান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা মুখস্ত করি, কিন্তু আত্মস্থ করি না। মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় লিখি, ভালো নম্বর পাই; অথচ বাস্তব জীবনে এর কোনো প্রয়োগ হয় না। তাই মুখস্তবিদ্যা থেকে সরে আসতে হবে।’
দীপুমনি বলেন, ‘আমরা মনে করি জিপিএ-৫ না পেলে জীবন বৃথা। যেকোনো ভাবেই হোক জিপিএ-৫ পেতে হবে। অভিভাবকরাও তাই সন্তান যাতে জিপিএ-৫ পায় সেজন্য ঘরবন্দী করে পড়ালেখা করান। অথচ জিপিএ-৫ মানে মেধাবী হওয়া নয়৷ অনেক শিক্ষার্থীই আছে যারা ক্লাসে খুব ভালো না করলেও খুবই সৃজনশীল। অভিভাবকদের সন্তানদের জিপিএ-৫ এর পেছনে লেগে না থেকে সে তার সক্ষমতা অনুযায়ী ফলাফল করল কিনা সেদিকে নজর রাখা উচিত।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামী দিনে আর প্রতিযোগিতা নয়, বরং একজন আরেকজনকে সহযোগী করে এগিয়ে যেতে হবে। সহযোগিতার মনোভাব তৈরি করতে হবে। সবকিছু বদলে যাচ্ছে, জগৎ দ্রুত পাল্টাচ্ছে। এই পাল্টানোর সঙ্গে খাপ খেতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিখতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে।’
নতুন শিক্ষাক্রম প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম হবে খুবই আনন্দময়। সেখানে পরীক্ষার কোনো চাপ থাকবে না। শিক্ষার্থীরা হেসে-খেলে শিখবে। ক্লাসে পাঠদানের পাশাপাশি বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি সস্পর্কেও শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘শুধু ভালো ফল করলেই হবে না, ভালো মানুষও হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেডের (উপায়) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রেজাউল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব।