করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে স্কুল-কলেজ খুলবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, নভেম্বের-ডিসেম্বরে করোনার সংক্রমণ কমলে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যাবে।
বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছুটি শেষে সেপ্টেম্বরেই স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের। এ ছাড়া এখনই অটোপাসের চিন্তা নয়, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নভেম্বর–ডিসেম্বরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে।
গত ৬ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, সরকারি পর্যায়ের শিক্ষকরা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। অপর দিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ৬৩ হাজার ২২২ শিক্ষক ও কর্মচারীর মধ্যে দুই লাখ ৭৮ হাজার ৪২৬ জনই ইতোমধ্যে টিকার আওতায় এসেছেন।
এর আগে গত ১৫ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি কমে এলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
গত বছরের কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। এ ছাড়া টিকাদান ব্যাপকহারে শুরু হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সীমিত পরিসরে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।’
দীপু মনি জানান, এসএসসি ও এইচএসসিতে মূল্যায়ন হবে গ্রুপভিত্তিক। বাংলা, ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়ের মূল্যায়ন হবে না। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শেষ করা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস।
তিনি বলেন, ‘যদি পরীক্ষা না নিতে পারি তাহলে অ্যাসাইনমেন্ট এবং সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হবে।’
পরীক্ষার সময় কমানো হবে
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ২৪-৩০টি অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে তিন ঘণ্টার পরীক্ষা দেড় ঘণ্টায় হবে। আর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরে।
তিনি আরও বলেন, ‘তিন ঘণ্টার পরীক্ষা দেড় ঘণ্টায় নেয়া হবে। তাই কোনো শিক্ষার্থী যদি অ্যাসাইনমেন্টগুলো ভালোভাবে করে তবে পরীক্ষায় কোনো সমস্যা হবে না। আগে পরীক্ষায় যেমন ১০টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো। এখন সেই ১০টি প্রশ্নই থাকবে। কিন্তু উত্তর দিতে হবে তিনটি প্রশ্নের। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অপশন বেড়ে যাবে। তাই পরীক্ষা দিতে সুবিধা হবে। মানবণ্টনও ১০০ নম্বরের জায়গায় ৫০ নম্বর করে দেয়া হবে। মূল্যায়নের সময় সেটাকে ১০০ নম্বরে কনভার্ট করে নেয়া হবে।’
প্রশ্নের ধরন কেমন হবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘প্রত্যেকবার যেমন প্রশ্ন হয় তেমনি থাকবে। কিন্তু চয়েজ অনেক বেশি থাকবে। এসএসসির সাবজেক্ট ম্যাপিং জেএসসির বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করে মূল্যায়ন হবে।
দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দফায় দফায় তা বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।