আগামী ১৩ জুন সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জোরালো দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএ)। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়।
একই সঙ্গে নতুন বাজেটে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কিন্ডারগার্টেনগুলোর পুনর্বাসনে আর্থিক বরাদ্দের ব্যবস্থা করা এবং সপ্তাহে কমপক্ষে এক দিন একেকটি শ্রেণির কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতির দাবি জানায় সংগঠনটি।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি বাড়িয়ে ১২ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে ১৩ জুন থেকেই স্কুল-কলেজ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান সরকার বলেন, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো শিক্ষাক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করে চলেছে এবং কিছুটা হলেও বেকার সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে।
৪০ হাজার স্কুলে এক কোটি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। যদি স্কুলগুলো না থাকত, তাহলে শতভাগ শিক্ষা কর্মসূচি ও টেকসই উন্নয়ন বা এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য আরও অন্তত ৩০ হাজার স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হতো। তার জন্য প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা ব্যয় হতো। বলা চলে এই কিন্ডারগার্টেনের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ব্যয়ের বিরাট চাপ কমে গেছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো কখনোই কোনো সরকারি অনুদান পায়নি এবং পাওয়ার আবেদনও করেনি। কিন্তু বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পুরো দেশের মতো আমরাও দিশেহারা। এ জন্য দেশের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর অবস্থাও শোচনীয়।
‘আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আগেই সতর্ক করেছিলাম, যদি সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দেয়, তাহলে ৭৫ শতাংশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা চাই, চলতি বাজেট অধিবেশনে কিন্ডারগার্টেনগুলো টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বাজেটে বরাদ্দ নিশ্চিত করা হোক।’
কর্মসূচিতে বিকেএর চেয়ারম্যান মনোয়ারা ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মো. আব্দুল মাজেদ, মাহমুদুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মো. ফারুখ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হামিদুর রহমানসহ বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।