জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত অ্যাকাডেমিক পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য রাশেদা আখতার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের গত ২৭ মের বৈঠকে নেয়া প্রাথমিক সিদ্ধান্ত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে পাস হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ আলাদাভাবে ঘোষণা করবে।
অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের প্রস্তাবটি সিন্ডিকেট অনুমোদন করেছে। পরীক্ষার আগে কিছু প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আমাদের পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনা আছে। এর মধ্যে অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের সহানুভূতিশীল হতে হবে।’
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশে অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০ নম্বরের অ্যাসাইনমেন্ট নেয়া হবে এবং ১০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ৩০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। ৫০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরকে ১ দশমিক ৪ দিয়ে গুণ করে পূর্ণ কোর্সের মূল্যায়ন করা হবে। এদিকে হাফ কোর্সের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বর ১ দশমিক ৪ দিয়ে গুণ করে তার অর্ধেক নম্বর গণনা করা হবে। এটি পূর্ণ কোর্সের ক্ষেত্রে ৭০ নম্বর ও হাফ কোর্সের ৩৫ নম্বরের সমান হবে।
এ ছাড়া পূর্ণ কোর্সে ১০ নম্বরের ক্লাস উপস্থিতি ও অনুশীলনী পরীক্ষার ২০ নম্বর যোগ হবে। হাফ কোর্সের ক্ষেত্রে ৫ নম্বরের উপস্থিতি ও অনুশীলনী পরীক্ষার ১০ নম্বর যোগ করা হবে।
তবে অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে উপস্থিতির নম্বরের হিসাব কীভাবে করা হবে, জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সভাপতি মোস্তফা নাজমুল মানসুর বলেন, ‘অফলাইনের হিসেবে অনলাইনের ক্লাসগুলো যদি ৫০ শতাংশের বেশি হয়ে থাকে, তবে সেই ৫০ শতাংশকেই ধরা হবে।’
এর আগে ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্তের সুপারিশ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক বৈঠক থেকে সিন্ডিকেটে পাঠানো হয়।
অনলাইন পরীক্ষা-সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘আমরা শুধু করোনা না, বরং সরকারঘোষিত যেকোনো দুর্যোগকালের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যাপক আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তসমূহ নেয়া হয়েছে।’