মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছর স্নাতক (সম্মান ও পাস) কোর্সে পড়া ৭০২ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হবে। পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মেধা ও সাধারণ বৃত্তির কোটা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২০-২১ সালের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান ও পাস) কোর্স পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি বণ্টন করা হবে।
কোটা অনুসারে, স্নাতক (সম্মান) স্তরে মেধাবৃত্তির সংখ্যা ১৮টি ও সাধারণ বৃত্তি ৩৭৫টি। মেধাবৃত্তি হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাসিক ১ হাজার ১২৫ টাকা আর বাৎসরিক এককালীন ১ হাজার ৮০০ টাকা দেয়া হবে। আর সাধারণ বৃত্তি হিসেবে মাসিক ৪৫০ টাকা ও বাৎসরিক এককালীন ৯০০ টাকা দেয়া হবে। উভয় বৃত্তির মেয়াদ হবে এক বছর।
স্নাতক পাস কোর্সে মেধাবৃত্তির সংখ্যা ৯টি। মাসিক বৃত্তির হার ১ হাজার ৫০ টাকা। এ ছাড়া তাদের বার্ষিক এককালীন ১ হাজার ৮০০ টাকা দেয়া হবে। সাধারণ বৃত্তি পাবেন ৩০০ শিক্ষার্থী। তবে প্রতি জেলায় দুইজন ছাত্র আর দুইজন ছাত্রীকে নির্বাচন করতে হবে। অবশিষ্ট ৪৪টি বৃত্তি মেধার ভিত্তিতে দেয়া হবে। সাধারণ বৃত্তি হিসেবে মাসিক ৩৭৫ টাকা আর বাৎসরিক অনুদান হিসেবে এককালীন ৬০০ টাকা দেয়া হবে। সাধারণ বৃত্তির মেধাকাল হবে দুই বছর।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় মেধার ভিত্তিতে বৃত্তির তালিকা তৈর করতে হবে। শিক্ষার্থী অনুপাতে ৫০ শতাংশ ছাত্র ও ৫০ শতাংশ ছাত্রী বৃত্তি পাবেন। তবে কোথাও যোগ্য ছাত্রী না পাওয়া গেলে সে ক্ষেত্রে ছাত্রকে সম্পূরক বৃত্তি দেয়া যাবে। উচ্চতর শ্রেণিতে ভর্তি হলেই কেবল বৃত্তি পাবেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।