বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে অতিরিক্ত সচিবকে নিয়োগ দেয়ায় নিন্দা জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করার পাশাপাশি একজন কোষাধ্যক্ষ শিক্ষা ও গবেষণার বিভিন্ন নীতিনির্ধারণীমূলক কর্মকাণ্ডে সার্বক্ষণিক যুক্ত থাকেন। তাই দাপ্তরিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা একজনকে ওই পদে দায়িত্ব দেয়ার মাধ্যমে পুরো উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে হেয় করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘দাপ্তরিক কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে একজন কর্মকর্তা শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্ব যথাযথভাবে অনুধাবন করতে পারবেন বলে আমরা মনে করি না। অথচ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নয়নের জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম।
‘এজন্য ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই নীতিনির্ধারণী পদসমূহে স্ব-স্ব ক্ষেত্রের সফল গবেষক ও শিক্ষক অধ্যাপককে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।’
মন্ত্রণালয় থেকে নয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যদি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নীতিনির্ধারণীমূলক পদে গবেষক বা শিক্ষকদের নিয়োগ দিত তাহলে এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো যেত বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
বেশ কিছুদিন ধরে দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অযাচিত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি স্বার্থান্বেষী মহল উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পীঠস্থান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ধীরে ধীরে মর্যাদাহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার অশুভ প্রয়াস চালাচ্ছে। এই ধারা এখনই রোধ করা না গেলে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।’
দ্রুত এই আদেশ বাতিল করে একজন স্বনামধন্য গবেষক অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের দাবি জানান জাবি শিক্ষকরা।