বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশুদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা

  •    
  • ২৬ মার্চ, ২০২১ ০১:৩৪

টাঙ্গাইল জেলার শিশু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, প্রতারকরা কৌশলে ছয় ডিজিটের একটি ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) জেনে নিয়ে এ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

টাঙ্গাইলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো শিশু শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বেহাত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জেলার শিশু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, প্রতারকরা কৌশলে ছয় ডিজিটের একটি ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) জেনে নিয়ে এ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তারা।কালিহাতী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। তারা জানান, নগদ অফিস থেকে ফোন করে জানানো হয়েছে, উপবৃত্তির টাকা দিতে সমস্যা হচ্ছে। ফোনে একটা ভেরিফিকেশন কোড নম্বর যাবে। সেটা দিলেই বৃত্তির টাকা আপনার ফোনে চলে যাবে। মানুষ সরল বিশ্বাসে ওই কোড জানিয়ে দেয়ায় সহজেই টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।’

প্রতিকার হিসেবে মোবাইলে কাউকে অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য না দিয়ে সরাসরি নগদের অনুমোদিত এজেন্টের কাছ থেকে টাকা তোলার পরামর্শ দিয়েছেন এই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের মনিটরিং অফিসার মো. আছাদুল্ল্যাহ জানান, টাঙ্গাইলে এক হাজার ৬২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৯টি এবতেদায়ি মাদ্রাসার দুই লাখ ৬৫ হাজার ৪৯৪ জন শিক্ষার্থী এ উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে । প্রাক-প্রাথমিক পড়ুয়া শিশুদের প্রতি মাসে ৭৫ টাকা এবং প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ১৫০ টাকা করে দেয়া হয়।

মোবাইল ব্যাংকিং ‘নগদ’-এর কাস্টমার কেয়ারকর্মী পরিচয়ে একটি চক্র এ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে এ সব ফোন করছে প্রতারকরা। কালিহাতী উপজেলার বড় ইছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়ার বাবা আব্দুল মালেক বলেন, ‘অফিসের পরিচয় দেয়ায় আমি সরল বিশ্বাসে ওই ওটিপি কোড জানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু বুঝতে পারিনি ওটা ডিজিটাল বাটপারের ফোন ছিল।’কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনা নাছরিন জানান, কয়েকজন অভিভাবক তাদের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। এরপর থেকে অভিভাবকদের সতর্ক করা হচ্ছে, তারা যেন কাউকে গোপন কোড নম্বর না দেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজিজ বলেন, ‘আসলে গ্রামের মানুষ একটু সহজ-সরল। তাই প্রতারকরা সুযোগ নিচ্ছে। আমি তবুও আমরা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি, যেন তারা এর একটা ব্যবস্থা করেন।’

এ বিভাগের আরো খবর