বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদের আগে খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২১ ১২:৩৭

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতীয় কমিটির সঙ্গে আজই আলোচনা করে আগামীকাল এ বিষয়ে (খোলার তারিখ) আমরা সিদ্ধান্ত জানাব। কিন্তু যে পরিস্থিতি তাতে এটুকু বলতে পারি, আমরা যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় খুলছি ঈদের পর, হয়তোবা মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিককেও সেই সময়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায় ৩১ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী রোজার ঈদের পর খুলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় থাকবে। আমাদের কাছে সবচেয়ে বিবেচ্য বিষয়, আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবকদের সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তা। যেভাবে আমাদের দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল, আমরা খুবই আশাবাদী ছিলাম মার্চের ৩১ তারিখে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব।’

গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ধাপে ধাপে আট দফা ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার। শবেবরাতের ছুটির কারণে একদিন পিছিয়ে ৩১ মার্চ খোলার সিদ্ধান্ত হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সিদ্ধান্ত ছিল পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেব। হঠাৎ করেই সারাবিশ্বে করোনার নতুন যে ঢেউ এসেছে, সেটি আমাদের দেশেও দ্রুত সময়ে ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ছুটির তারিখটি আমরা পুনর্বিবেচনা করছি।

‘আমরা জাতীয় কমিটির সঙ্গে আজই আলোচনা করে আগামীকাল এ বিষয়ে (খোলার তারিখ) আমরা সিদ্ধান্ত জানাব। কিন্তু যে পরিস্থিতি তাতে এটুকু বলতে পারি, আমরা যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় খুলছি ঈদের পর, হয়তোবা মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিককেও সেই সময়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে।’

দেশে লম্বা একটা সময় করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গরমের শুরু থেকে আবার বেড়ে চলছে। একটা সময় শনাক্তের হার নেমে এসেছিল ৩ এর ঘরে। সেখান থেকে শনাক্ত হার ছাড়িয়ে গেছে ১৩ শতাংশের ঘর।

বুধবার দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে ৩ হাজার ৫৬৭ জনের শরীরে, যা গত সাড়ে আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগ সময় মৃত্যুর সংখ্যাটাও ২০ জনের ওপর থাকছে।

দেশে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে কি না এ ব্যাপারে সরকার থেকে কিছু বলা হচ্ছে না। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি নীতিমালা বলছে, বাংলাদেশে আসলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।

ডব্লিউএইচওর নীতিমালায় বলা হয়েছে, টানা দুই সপ্তাহ পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। বাংলাদেশে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে ছিল টানা আট সপ্তাহের বেশি।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বেড়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

তবে ৬ মার্চ এই শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে আসে। এরপর থেকে সেটি আরও বাড়তে থাকে। ডব্লিউএইচওর আরেক নীতিমালা অনুযায়ী, যদি টানা দুই সপ্তাহ শনাক্তের হার বাড়তে থাকে তাহলে নতুন ঢেউ আসছে বলে ধরা হয়।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইউরোপ আমেরিকায় আরও বেশি বিধ্বংসী হয়েছে। প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে বেশি। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগে আবারও কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই, আমাদের কেউ যেন সংক্রমিত না হয়। আমার সবার কাছে অনুরোধ, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, মাস্ক পরি এবং সবাই যেন নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখি। কারন সংক্রমক কমানোর এটাই একমাত্র মাধ্যম।’

এ বিভাগের আরো খবর