বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেব্রুয়ারির পরিস্থিতি দেখে ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:৪৪

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাস আমরা যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখছি, সবাই যদি আরেকটু মেনে চলেন আমরা এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব এবং খুব দ্রুতই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে পারব। আমরা আশা করছি যে, হয়তো আগামী মার্চ-এপ্রিল, আমরা মার্চ মাসটা দেখব।’

ফেব্রুয়ারি মাসের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী মার্চ বা এপ্রিলের দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা এবং ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার সকালে ২০২০ সালের এইচএসসি ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ ইঙ্গিত দেন তিনি। বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে আমরা খুব দ্রুতই স্কুল খুলে দিতে পারব।

‘করোনা ভাইরাস আমরা যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখছি, সবাই যদি আরেকটু মেনে চলেন আমরা এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব এবং খুব দ্রুতই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে পারব। আমরা আশা করছি যে, হয়তো আগামী মার্চ-এপ্রিল, আমরা মার্চ মাসটা দেখব।’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি অবস্থা ভালো থাকে পরবর্তীতে আমরা সীমিত আকারে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেব। আমাদের ছেলে মেয়েরা যাতে যেতে পারে সে ব্যবস্থাটা আমরা নেব। এ ধরনের চিন্তাভাবনা আমাদের আছে। আমরা যত দ্রুত পারি এ ব্যবস্থাটা নেব।’

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরও দেয়া হয় সংশ্লিষ্টদের সে নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আমরা করোনা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছি। সেখানে আমি এরই মধ্যে নির্দেশ দিয়েছি, আমাদের যারা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি আছেন তাদেরও এই ভ্যাকসিনটা যাতে দ্রুত দেয়া হয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফল ঘোষণা করেন। ছবি: সংগৃহীত

ফল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য নয়

পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন তাদের সমালোচনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘আমি মনে করি, খুব বেশি কথা বলা বা এটা নিয়ে বেশি তিক্ততা সৃষ্টি করা উচিত না। মনে রাখতে হবে, আমাদের ছোট ছেলেমেয়েরা, তাদের জীবনটার দিকে তাকাতে হবে। তারা যেনো কোনভাবেই হতাশাগ্রস্থ না হয়ে পড়ে। এমনিতেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে না, এটা তাদের জীবনে বিরাট এক বাধা সৃষ্টি করছে।

‘এরপর যদি আবার ফলাফল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা হয়, এতেও কিন্তু তাদের মানসিক চাপ পড়বে। যারা এ ধরনের কথা বলছেন তাদের আমি বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনায় ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য বাধ্য হয়েই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

‘অনেকে অনেকে সেন্টিমেন্টাল হচ্ছেন, কথা বলছেন পরীক্ষা নিতে। কিন্তু এগুলো করতে গিয়ে যদি কেউ সংক্রমিত হয় তাহলে তার দায় দায়িত্ব কে নেবে? যারা সমালোচনা করছেন এই পদ্ধতিতে রেজাল্ট দেয়ার কারণে, তারা নেবেন দায়িত্ব? নিশ্চয়ই তারা নেবেন না।’

মোবাইল ফোনে এইচএসসির ফল দেখছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সাইফুল ইসলাম

সমালোচকদের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তখন তারা নতুন করে আবার সমালোচনা শুরু করবেন। এটাই আমাদের সবচেয়ে দুর্ভাগ্য যে কিছু লোক থাকেই যা কিছু করতে যান তাতেই একটা খুত বের করা। ফলাফলটা কি হবে সেটা তারা চিন্তাও করেন না।’

এ সময় করোনার মধ্যেও মুল্যায়ন পদ্ধতিতে এইচএসসির ফল প্রকাশ করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

‘অবশেষে অন্তত আমরা পরীক্ষার ফলটা প্রকাশ করতে পারলাম। এটা অনেক কঠিন কাজ। অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে এটা করতে হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনার কারণে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিঘ্নিত না করতেই ব্যাপক প্রস্তুতির পরেও মুজিববর্ষের সব অনুষ্ঠান সীমিত আকারে করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘মানুষের জীবন রক্ষাই ছিল আমাদের কর্তব্য। আমরা বাবা তো এদেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাদের সুরক্ষা দেয়াই ছিল আমাদের অগ্রাধিকার।

‘এ জন্য মুজিববর্ষের সব অনুষ্ঠান আমরা বন্ধ করে অনলাইনে সীমাবদ্ধ রাখি। পরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়, স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেই। আমরা ভেবেছিলাম, অবস্থা পরিবর্তন হলে পরীক্ষা নিতে পরব। কিন্তু দেখছি এটা তো বন্ধ হচ্ছেই না বরং নতুন সংক্রমণ হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা যেন ব্যহত না হয় এ জন্য এভাবে ফল ঘোষণা করা হচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এভাবে ফল ঘোষণা করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর