ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ভর্তির তালিকায় উঠেছে এক ছাত্রীর নাম। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রীর অভিভাবকরা একে অপরকে দুষছে। ওই ছাত্রী আছে অনিশ্চয়তায়।
গত সোমবার দেশের সব সরকারি বিদ্যালয়ে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।
সেদিন অনলাইনে প্রকাশ হওয়া ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক বিদ্যালয়ের তালিকায় দেখা যায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সনগাঁও গ্রামের ওয়াসিমা আক্তার লুবনার নাম।
বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পীযূষ কান্তি রায় বলেন, ‘অভিভাবকের ভুলের কারণে এমন হয়েছে। কারণ ভর্তির ফরমে পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম থাকে। ওই পাঁচটি বিদ্যালয়ের যেকোনো বিদ্যালয় অভিভাবকরা সিলেক্ট করেন।
‘এখানে হয়তো ভুলে তারা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সিলেক্ট করেছিল, যে কারণে লটারিতে বালক বিদ্যালয়ে সে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।’
তবে লুবনার বাবা হায়দার আলির দাবি, আবেদন প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল ছিল না।
‘আমার মেয়েকে ঠাকুরগাঁও বালিকা বিদ্যালয়ে মেয়েদের সাথে পড়ার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি। তাই সকলের সাহায্য কামনা করছি।’
এই ভুল সংশোধনের দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের নয় মন্তব্য করে প্রধান শিক্ষক পীযূষ বলেন, ‘ওই ছাত্রীকে অন্য কোথাও ভর্তি করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই।’
এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই জানিয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, এমন কিছু হয়ে থাকলে তা নিয়ে অধিদপ্তরে কথা বলা হবে এবং মেয়েটিকে অন্যত্র ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে চুয়াডাঙ্গায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারিতে এক বালকের নাম ওঠে। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়ে যায়।
পরে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির তালিকায় এক বালকের নাম এসেছে বলে শুনেছি। তালিকা থেকে তাকে বাদ দেয়া হবে।’
ভর্তি পরীক্ষায় বালিকা বিদ্যালয়ে যে ছেলের নাম এসেছে তার ভবিষ্যৎ কী হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এর দায়ভার ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের।’