বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভর্তির লটারিতে মেয়েদের স্কুলে ছেলের নাম

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:৪০

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির তালিকায় এক বালকের নাম এসেছে বলে শুনেছি। তালিকা থেকে তাকে বাদ দেয়া হবে।’

চুয়াডাঙ্গায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারিতে নাম উঠেছে এক বালকের। এছাড়া সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থীর নাম একাধিক বার উঠেছে লটারিতে।

এসব কারণে সন্তানের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন অভিভাবকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি ছড়িয়ে পড়েছে।

গত সোমবার সারা দেশের সব সরকারি বিদ্যালয়ে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। ওই দিন বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হয় অনলাইনে ও স্কুলের নোটিশ বোর্ডে।

এদিন চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির লটারিতে এক ছেলে শিক্ষার্থীর নাম ওঠে। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়ে যায়।

স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিভাবকরা ফরম পূরণের সময় ভুল করায় এমন হতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী, ওই ছেলে শিক্ষার্থীকে মেয়েদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হবে না।চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের লটারিতে একই ছাত্রের নাম এসেছে একাধিকবার।

এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, ‘যেকোনো কারণে একজনের নাম একাধিকবার আসতে পারে। যদি একজনের নাম একাধিকবার আসে, তাহলেও ভর্তি একবারই হতে পারবে।’চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মালকার বলেন, ‘কিছু ঘটনায় ভর্তি জটিলতা হয়েছে। তবে অভিভাবকদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। যেসব শিক্ষার্থীর নাম লটারিতে এসেছে, তারা সবাই ভর্তি হবে। শুধু যে ছেলের নাম ভুলবশত বালিকা বিদ্যালয়ে চলে এসেছে, তাকে ভর্তি নেয়া সম্ভব না।’চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৪০টি এবং ভি জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৪০টি আসনে মোট ৪৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার কথা। এমন পরিস্থিতিতে লটারিতে একজন শিক্ষার্থীর নাম কয়েকবার আসায় বাকি আসনগুলোতে কী হবে- এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি কেউ।

এক অভিভাবক বলেন, ‘দুটি সরকারি স্কুলের ভর্তি জটিলতা একই রকম। লটারিতে আমার সন্তানের নাম দুই বার এসেছে। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।’আরেক অভিভাবক বলেন, ‘ভর্তি জটিলতা নিয়ে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো সহযোগিতা করছে না। এই জটিলতা কবে কাটবে জানি না।’ জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির তালিকায় এক বালকের নাম এসেছে বলে শুনেছি। তালিকা থেকে তাকে বাদ দেয়া হবে।’

ভর্তি পরীক্ষায় বালিকা বিদ্যালয়ে যে ছেলের নাম এসেছে তার ভবিষ্যৎ কী হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এর দায়ভার ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের।’

এ বিভাগের আরো খবর