বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এস আলমের ছয় ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বন্ধ, এলসিও খোলা যাবে না

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৯ আগস্ট, ২০২৪ ১৭:৩৮

এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এসব ব্যাংক হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছয়টি ব্যাংকের ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। একইসঙ্গে এসব ব্যাংক থেকে এলসি খুলতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব ব্যাংক নতুন করে ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। আগের ঋণ নবায়নও করতে পারবে না। এমনকি এই ব্যাংকগুলো এখন থেকে নতুন করে কোনো আমদানি এলসিও খুলতে পারবে না।

এর আগে গত সপ্তাহে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এই ছয় ব্যাংকসহ মোট নয়টি ব্যাংকের ইস্যুকৃত এক কোটি টাকা বা তার বেশি টাকার চেক নিজ নিজ ব্যাংক থেকে বা অন্য কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে নগদায়ন বন্ধের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের প্রভাব কমাতে এবং তাদের ঋণ গ্রহণ বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বিধিনিষেধ আরোপ করে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গ্রুপটির সরাসরি সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এস আলমের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন ধরে ঘাটতিতে রয়েছে। নামে-বেনামে ঋণ দিয়ে এই ব্যাংকগুলোতে এমন সংকট তৈরি হয়েছে। তারপরও সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদের বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে এসব ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট থেকে নিয়মিত টাকা সরবরাহ করেছেন।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ জুন গভর্নরের অনুমোদনে বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গ্রুপের প্রভাব থাকা ইসলামি ব্যাংকগুলোকে একদিনে ৩৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে।

এর মধ্যে সরকার পরিবর্তনের পর বেনামি ঋণের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একদিনে ৮৮৯ কোটি টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করা হলে ব্যাংকটি তা ঠেকিয়ে দেয়।

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন আটটি ব্যাংকসহ নয়টি ব্যাংকই চরম অর্থ সংকটে রয়েছে। এসব ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সিআরআর ও এসএলআর বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের চলতি হিসাবেও বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, এসব ব্যাংক আমানতের চেয়ে বেশি ঋণ দেয়ায় সেগুলোর চলতি হিসাবের ঘাটতি আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ বিবেচনায় এসব ব্যাংককে জামানত ছাড়াই টাকা ধার দিচ্ছে এবং লেনদেন হিসাব চালু রেখেছে। এ কারণেই মূলত নতুন ঋণ দেয়ার সুযোগ পাচ্ছিলো ব্যাংকগুলো।’

এদিকে এস আলমের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাদের নামে থাকা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের কাছে থাকা হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। সদ্যবিদায়ী সরকারের আমলে সুবিধাভোগী অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী ছিল এই শিল্প গ্রুপ।

এ বিভাগের আরো খবর