বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিএসইতে লেনদেন কমে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩ জুলাই, ২০২৪ ১৯:২৮

ঈদের পর দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আবার পতন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাসের দিন পুঁজিবাজারে দরপতন হওয়ার পর মঙ্গলবার সূচকে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। সেসঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি।

ঈদের পর দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আবার পতন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাসের দিন পুঁজিবাজারে দরপতন হওয়ার পর মঙ্গলবার সূচকে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। সেসঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও কমেছে অপর দুই সূচক। তবে বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। আর ৭০০ কোটি টাকার ঘরে চলে যাওয়া লেনদেন কমে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বাড়লেও কমেছে বাছাই করা সূচক। তবে এ বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। অবশ্য ডিএসই’র মতো এই বাজারটিতেও লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।

এদিন পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মধ্য দিয়ে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সবকটি সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার ধারণা অব্যাহত থাকায় এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৯ পয়েন্ট কমে যায়।

তবে লেনদেনের শেষদিকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকা থেকে দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে। ফলে এদিকে দাম বাড়ার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে প্রধান মূল্যসূচক বেড়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৪০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

মূল্যসূচক মিশ্র থাকার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতি কমে এসেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২৭২ কোটি ৫ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে বিচ হ্যাচারির শেয়ার। কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্যালভো কেমিক্যালের ১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, মালেক স্পিনিং, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, আইসিবি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফারইস্ট নিটিং এবং জেমিনি সি ফুড।

অপরদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮২টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর