জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে আলোচিত কর্মকর্তা ড. মো. মতিউর রহমানকে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের শুল্ক-১ শাখার উপসচিব মকিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনাল, ঢাকার প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এদিকে সোনালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আফজাল করিম জানান, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকেও বাদ পড়তে যাচ্ছেন মতিউর রহমান। এরই মধ্যে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে বিষয়টি তাকে জানিয়েছে।
ঈদের ছুটির পর এখনও কর্মস্থলে যোগ দেননি মতিউর রহমান। সকালে ভ্যাট ও কাস্টমস আপিলাত ট্রাইবুনালে তাকে পাওয়া যায়নি।
কর্মচারীরা জানান, ঈদের ছুটির পর কর্মস্থলে যোগ দেননি মতিউর রহমান।
ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১২ লাখ টাকায় ছাগল কেনার জেরে দেশজুড়ে আলোচিত হয় এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের নাম।
এ কর্মকর্তার বিপুল সম্পদ ও ছেলের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে দৈনিক সমকাল ২১ জুন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ছাগলকাণ্ডে আলোচিত তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানেরই ছেলে। যদিও গত বুধবার এই পরিচয় পুরোপুরি অস্বীকার করেন তিনি। আড়াল করেন ছেলের প্রকৃত পরিচয়।
‘মতিউরের দাবি ছিল, ইফাত তার ছেলে নন, এই নামে কাউকে চেনেনও না, তবে সমকালের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, মতিউরের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর ছেলে ইফাত। বাবার অঢেল সম্পদে বিলাসী জীবনযাপন করেন এই তরুণ।’
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘১৯ বছরের ইফাত মোবাইল ফোনে যে সিম কার্ড ব্যবহার করছেন, সেটি তার বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে তোলা। ইফাতের স্বজনও বলছেন, মতিউর রহমান তার বাবা। মতিউর রহমান সম্পর্কে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর মামাতো বোন জামাই।’
নিজাম হাজারীকে উদ্ধৃত করে সমকালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইফাত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে, এটাই সত্য। কেন নিজের সন্তানকে অস্বীকার করছেন, সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। আমার মামাতো বোন শাম্মী আখতার শিবলীর সঙ্গে মতিউরের বৈবাহিক বিচ্ছেদও হয়নি।’