আগামী বাজেটে (২০২৪-২৫) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণে কর ছাড় কমানোর বিস্তর ছক থাকছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে বাজেটে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট এবং আমদানি পর্যায়ে শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে, আবার কমানো হচ্ছে কিছু পণ্যের। এ কারণে সেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে ও কমতে পারে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়িত্বশীল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
যেসব পণ্যসামগ্রীর দাম কমতে পারে
আসন্ন বাজেটে ২৮২টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহার-হ্রাস, সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ও সংরক্ষণমূলক শুল্ক (আরডি) কমানো হচ্ছে। এতে ওইসব পণ্যের দাম কমতে পারে। এ তালিকায় আছে- গুঁড়োদুধ, চকোলেট, ল্যাপটপ, কার্পেট, রড, সুইস-সকেট, কিডনি ডায়ালাইসিসের উপকরণ, প্রি-পেইড মিটার, মোটরসাইকেল ইত্যাদি। সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্যাকেটজাত গুঁড়োদুধ আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এতে আমদানিকৃত গুঁড়োদুধের দাম কমতে পারে। চকোলেট আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে। এ কারণে সব বয়সিদের পছন্দের চকোলেটের দাম কমতে পারে।
ল্যাপটপ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হলেও ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এতে ৩১ শতাংশের পরিবর্তে ২০ দশমিক ৫০ শুল্ক-কর দিতে হবে বিধায় ল্যাপটপের দাম কমতে পারে। কার্পেট তৈরির প্রধান কাঁচামাল পলিপ্রেপাইলিন ইয়ার্ন আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দেশে তৈরি কার্পেটের দাম কমতে পারে।
পাশাপাশি রড, বার ও এঙ্গেল তৈরির কাঁচামাল ম্যাঙ্গানিজ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে লোহাজাতীয় পণ্যের দাম কমতে পারে। বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত সুইস-সকেটের দাম কমতে পারে। কারণ দেশে উৎপাদিত সুইস-সকেট, হোল্ডার উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমানো হচ্ছে। ইলেকট্রিক মোটর উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে ইলেকট্রিক মোটরের দাম কমতে পারে।
এ ছাড়া দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের সিকেডি ইঞ্জিনের পার্টস আমদানির শুল্ক কমানো হচ্ছে। এ কারণে দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের দাম কমতে পারে। কিডনি ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত ফিল্টার ও সার্কিট আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে এক শতাংশ করা হচ্ছে। এ কারণে ডায়ালাইসিস খরচ কমতে পারে।
যেসব গৃহস্থালি সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে
বাসাবাড়িতে এখন এলইডি বাতির ব্যবহার হয়। কারণ এলইডি বাল্ব এবং অ্যানার্জি সেভিং বাল্ব উৎপাদনের উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। ফলে বাড়তে পারে এলইডি বাতির দাম। পাশাপাশি টিউবলাইটের ওপর একই হারে ভ্যাট বাড়তে পারে।
মধ্যবিত্ত পরিবারও এখন এসি কেনার চেষ্টা করে; কিন্তু এবার তাতে হাত দেওয়া হচ্ছে। উৎপাদন পর্যায়ে এসির ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট বসতে পারে। ৩০ জুন পর্যন্ত এসি উৎপাদন ভ্যাটমুক্ত থাকবে। তাই এরপর এসির দাম বাড়তে পারে। রেফ্রিজারেটরের উৎপাদন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট বেড়ে ১০ শতাংশ হতে পারে। এ ছাড়া আম, তেঁতুল, পেয়ারা, আনারসসহ বিভিন্ন ধরনের জুসের ওপর উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বসানোর পরিকল্পনা করছে এনবিআর।
এখন নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারেও পানি শোধন যন্ত্র (ওয়াটার পিউরিফায়ার) ব্যবহার করা হয়। এসব যন্ত্র আমদানিতে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক আছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এই শুল্ক ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এতে ভোক্তা পর্যায়ে এই যন্ত্রের দাম বাড়বে।
নিরাপত্তার স্বার্থে এখন বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। সিসি ক্যামেরা আমদানির ওপর বর্তমানের ১ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ শুল্ক বসতে পারে। আবার শহরে নিরাপত্তা সেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি প্রহরী নিয়োগ দেয়। এ সেবা পেতেও খরচ বাড়াতে হবে। কারণ, নিরাপত্তা সেবার ওপর বর্তমানের ১০ শতাংশ থেকে ভ্যাট বেড়ে ১৫ শতাংশ হতে পারে।
লিফট আমদানিতেও শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।
প্রতিবারের মতো আগামী বাজেটেও সিগারেট উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য স্তর বাড়ানো হচ্ছে। তাই সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়বে। দেশে কাজুবাদাম চাষকে সুরক্ষা দেওয়ার অংশ হিসেবে খোসা ছাড়ানো কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে কাজুবাদামের দাম বাড়তে পারে। লোডশেডিং মোকাবিলায় বাসাবাড়ি বা শিল্পে জেনারেটরের ব্যবহার বাড়ছে। সেখানেও নজর দিয়েছে এনবিআর। জেনারেটর সংযোজন ও উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ বা যন্ত্রাংশ আমদানিতে এক শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। তাই দেশের বাজারে জেনারেটরের দাম বাড়তে পারে।
মুঠোফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়তে পারে
উচ্চবিত্ত থেকে শুরু মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সবার কাছেই এখন মোবাইল অতি প্রয়োজনীয় যন্ত্র। কথা বলার পাশাপাশি ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ- এসব জীবনযাত্রার অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। আগামী বাজেটে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে টকটাইম ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা আছে। এটি আরও ৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। এই প্রস্তাব পাস হলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে।
ব্যাগেজ রুলে বড় পরিবর্তন
আসন্ন বাজেটে ব্যাগেজ রুলে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যেমন- ২৪ ক্যারেট স্বর্ণালঙ্কার আনা যাবে না। ২২ ক্যারেট বা তার নিচের ক্যারেটের স্বর্ণালঙ্কার ১০০ গ্রাম আনা যাবে। ১২ বছরের কম বয়সিরা ব্যাগেজ সুবিধায় স্বর্ণালঙ্কার, স্বর্ণবার, মদ-সিগারেট আনতে পারবে না। অন্যদিকে যাত্রীর সঙ্গে আনা হয়নি এমন ব্যাগেজ (ইউ-ব্যাগেজ) শুল্কছাড় সুবিধা পাবে না। এ ধরনের ব্যাগেজে আনীত পণ্যভেদে শুল্ককর পরিশোধ করতে হবে।
উত্তরাধিকার সম্পদ হস্তান্তরে কর নেই
উত্তরাধিকার, উইল, অসিয়ত এবং অবাতিলযোগ্য কোনো ট্রাস্টমূলে সম্পদ অর্জন করলে তা করমুক্ত থাকবে। এর মানে হলো উত্তরাধিকার সূত্রে কোনো জমি, ফ্ল্যাটসহ সম্পদ পেলে তাতে কর দিতে হবে না। এ ছাড়া এতিমখানা, অনাথ আশ্রম ও ধর্মীয় উপাসনালয়কে গাড়ির অগ্রিম কর পরিশোধ করতে হবে না- এমন ঘোষণা আসছে বাজেটে।
করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না
আগামী অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না। এখনকার মতো বার্ষিক করমুক্ত সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকাই থাকছে। তবে করহার পুনর্বিন্যাস হচ্ছে। এখন ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ করহারের সঙ্গে ৩০ শতাংশের আরেকটি স্তর আসছে। বছরে আয় সাড়ে ৩৮ লাখ টাকার বেশি হলে করদাতাকে বাকি অর্থের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করা যাবে
আগামী জুলাই মাস থেকে এক বছরের জন্য কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। নগদ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে যে কেউ এই সুযোগ নিতে পারবেন। একইভাবে জমি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট কিনেও নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে টাকা সাদা করা যাবে।
দুই বছর আগে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ শেষ হয়। সে সময় খুব একটা সাড়া মেলেনি। এরপর বিদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হয় এক বছরের জন্য; কিন্তু কেউ-ই সেই সুযোগ নেননি। প্রায় সব সরকারের আমলেই কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। এই পর্যন্ত ৪৭ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে।
সংসদ সদস্যদের গাড়িতে শুল্ক বসতে পারে
সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসতে পারে। সংসদ সদস্যরা কোনো শুল্ক-কর ছাড়াই গাড়ি আমদানি করতে পারেন। ৩৬ বছর ধরে এই সুবিধা পেয়ে আসছেন তারা। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারায়। তবে নীতিনির্ধারকদের দিক থেকে সংসদ সদস্যের গাড়ির ওপর শুল্ক না বসানোর চাপ আছে। শেষপর্যন্ত এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে গাড়ির ইঞ্জিনের সিসিভেদে ৪৫ শতাংশ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়।
উদ্যোক্তাদের জন্য ভালো-মন্দ খবর
ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো খবর যেমন আছে, তেমনি আছে খারাপ খবরও। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে। শর্ত হলো ৫ লাখ টাকার একক লেনদেন এবং বার্ষিক লেনদেন ৩৬ লাখ টাকার বেশি হলে তা ব্যাংকের মাধ্যমে হতে হবে। তবে সমবায় সমিতির করহার ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে।
ব্যবসায়ীরা কিছু পণ্য আমদানিতে শুল্ক সুবিধা পান। সেই সুবিধা সীমিত করা হচ্ছে। খাদ্যপণ্য, কৃষি উপকরণ, ওষুধসহ অত্যাবশ্যকীয় ও জীবন রক্ষাকারী পণ্যসহ ৩২৯টি পণ্য আমদানি করতে আমদানিকারককে কোনো আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক দিতে হয় না। আগামী বাজেটে ওই তালিকার অন্তত ১০-১৫ শতাংশ পণ্যের ওপর ১ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। সেই হিসাবে অর্ধশতাধিক পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসতে পারে। প্রাথমিক তালিকায় আছে, গম, ভুট্টা, শর্সের বীজ, তুলার বীজ, বিভিন্ন শাকসবজির বীজ, বিটুমিন, কয়লা, জিপসাম, ভিটামিন, পেনিসিলিন, ইনসুলিন, বিভিন্ন ধরনের দরকারি রাসায়নিক, প্লাস্টিক কয়েল, পেপার বোর্ড, বিভিন্ন স্টিলজাতীয় পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ ইত্যাদি। এ ছাড়া বর্তমানে ২৭টি তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতে বিনিয়োগ করলে কর অবকাশ সুবিধা পাওয়া যায়। আগামী বাজেটে এই কর অবকাশ সুবিধাপ্রাপ্ত খাতের সংখ্যা ১৯-এ নামিয়ে আনা হচ্ছে।
২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত ১৩ ধরনের বড় অবকাঠামো খাতে ১০ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা আছে। এসব বড় অবকাঠামোর ক্ষেত্রে কর অবকাশ সুবিধা উঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। যেসব খাতে কর অবকাশ সুবিধা উঠতে পারে সেগুলো হলো গভীর সমুদ্রবন্দর বা নদীবন্দর; এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে; রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল; ফ্লাইওভার, টোল রোড ও ব্রিজ; গ্যাস পাইপলাইন; আইসিটি পার্ক; হাইটেক পার্ক; অনুমোদিত পানি শোধনাগার; পানি সরবরাহ বা পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা; এলএনজি টার্মিনাল ও সঞ্চালন লাইন; মনোরেল ও সাবওয়েসহ রেলপথ; নবায়নযোগ্য জ্বালানি।
এ ছাড়া হাইটেক পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্পকারখানার মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসতে পারে। এই দুটি অঞ্চলের শিল্পমালিকরা আর শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ পাবেন না। এ ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসতে পারে।
এদিকে শেয়ারবাজার থেকে ক্যাপিটাল গেইনের ওপর কর কমানোর চিন্তা করা হচ্ছে। বার্ষিক ৫০ লাখ টাকার বেশি ক্যাপিটাল গেইন হলে কর বসতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ওপরই কর বসবে। এ ছাড়া কোম্পানি পরিচালকদের শেয়ারবাজার থেকে আয়ের ওপর উৎসে কর কাটার বিধান আসতে পারে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হয়। সেই মুনাফার ওপর এখন ১০ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখা হয়। এটি বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে।
এ ছাড়া ভবিষ্যৎ তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড), আনুতোষিক তহবিল (গ্র্যাচুইটি ফান্ড) কোথাও বিনিয়োগ করলে যে মুনাফা আসে, তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে উৎস কেটে রাখা হয়। এই করহার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে। পুনর্বিন্যাস হতে পারে ঠিকাদারি বিলের ওপর উৎসে করহার।
সাধারণত বিয়ে, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, গায়েহলুদ, সুন্নতে খতনাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সভা, সেমিনার, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। এখন থেকে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ ছাড়া মিলনায়তন ভাড়া করা যাবে না। বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার কপি লাগে। এই তালিকায় মিলনায়তন ভাড়া, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নিবন্ধন ও নবায়নে রিটার্ন জমার এই বাধ্যবাধকতা যুক্ত হতে পারে।