বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউএমপিএলের ৫৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের অর্থায়ন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৮:৪৯

ইউএমপিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘এই অর্থায়ন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় উন্নয়ন অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানগুলো (ডিএফআই) ও ব্যাংকগুলোর আস্থারই প্রতিফলন। ৪৬৩ মিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে একই ধরনের বিদেশি ঋণদাতাদের জন্য বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের পথ উন্মুক্ত হলো।’

ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড (ইউএমপিএল) ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প অর্থায়নের ৪৬৩ মিলিয়ন ডলারের ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে এবং বহুপক্ষীয় ঋণপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ঋণের প্রথম কিস্তির ৩৬০ মিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে।

স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স লিমিটেড (এসএফএল), ইউনিক হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি (ইউএইচআরএল) ও নেব্রাস পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট বি.ভির (নেব্রাস পাওয়ার) একটি কনসোর্টিয়াম প্রতিষ্ঠান হলো ইউএমপিএল।

ইউএমপিএল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় ৫৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে এটি বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত।

প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬১২ মিলিয়ন ডলার, যা ৭৫:২৫ ঋণ: ইক্যুইটি অনুপাতে অর্থায়ন হচ্ছে। এই ইক্যুইটির ২৪ শতাংশ নেব্রাস পাওয়ার থেকে বৈদেশিক বিনিয়োগ হিসেবে এসেছে। ঋণের অংশের অর্থের জোগান দেয়া হচ্ছে বহুপক্ষীয় আর্থিক প্যাকেজের মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে সুইস এক্সপোর্ট রিস্ক ইন্স্যুরেন্স (সার্ভ) কাভারড স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি), জার্মান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (ডিইজি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওফিড)।

প্রথম ধাপে ছাড়কৃত ৩৬০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে সার্ভ ইসিএ-কাভারড ঋণদাতা হিসেবে এসসিবি ২৪০ দশমিক ২৪ মিলিয়ন এবং ডিএফআই ঋণদাতা হিসেবে এআইআইবি, ডিইজি ও ওফিড ১১৯ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে।

গত কয়েক বছরের মধ্যে দেশে এটিই বৃহত্তম আইপিপি প্রকল্প ও বেসরকারি অবকাঠামো প্রকল্প অর্থায়ন। বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ, করোনা ভাইরাস-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারজনিত কারণে বৈশ্বিক বাজারে আর্থিক অস্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে এই অর্জন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

এ বিষয়ে ইউএমপিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘এই অর্থায়ন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় উন্নয়ন অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানগুলো (ডিএফআই) ও ব্যাংকগুলোর আস্থারই প্রতিফলন। ৪৬৩ মিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে একই ধরনের বিদেশি ঋণদাতাদের জন্য বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের পথ উন্মুক্ত হলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কার্যকর গ্যাস টারবাইন তথা জিই ৯এইচএর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ইউএমপিএল। সাইট কন্ডিশনে এর কার্যকারিতা ৬২ শতাংশের বেশি। প্রাকৃতিক গ্যাস সংকটের এই সময়ে এ প্রকল্পের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে গ্যাসের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এই অর্থায়ন প্রকল্পটিকে বিশ্বমানের অবকাঠামো প্রকল্প হিসেবে গড়ে তুলবে। আর এর মধ্য দিয়ে পরিবেশ-বান্ধব, নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ পাবেন বাংলাদেশের জনগণ।’

ইউএমপিএলের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অনুপম হায়াৎ বলেন, ‘৪৬৩ মিলিয়ন ডলারের ফিন্যান্সিয়াল ক্লোজ ও প্রথম পর্যায়ের বৈদেশিক ঋণ ছাড়ের ঘোষণা দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের মধ্যে ফিন্যান্সিয়াল ক্লোজ অর্জন খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল।

‘কঠিন এই পরিস্থিতিতে ফিন্যান্সিয়াল ক্লোজ অর্জনে সহায়তার জন্য ঋণদাতা সংস্থাগুলো, স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো, রেগুলেটর, ম্যানেজমেন্ট টিম ও সব পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর