বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংস্কারে সন্তুষ্ট আইএমএফ, ডিসেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:০৪

ব্যাংকারদের মতে, গভর্নর আবদুর রউফের নেয়া সুবিবেচনাপ্রসূত মুদ্রানীতিতে আস্থা রেখেছে আইএমএফ। আর এ কারণেই শ্রীলঙ্কায় আটকে দিলেও বাংলাদেশকে অর্থ ছাড়ের আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে যে শঙ্কার কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল তা অনেকটাই কেটে যাবে।

সরকারের নেয়া বিভিন্ন সংস্কার কাজে সন্তুষ্ট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এর পরিপ্রক্ষিতে আগামী ডিসেম্বরে সংস্থাটির পর্ষদ সভায় অনুমোদন পেতে পারে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি। এই কিস্তিতে বাংলাদেশ ৬৮ কোটি ডলার পাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে।’

এর আগে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করে। সেখানে আর্থিক খাতের সংস্কারের অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দলটিকে অবহিত করেন গভর্নর। এরপরই দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আশ্বাস মেলে।

আইএমএফের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে ৩ অক্টোবর বাংলাদেশে আসে সংস্থাটির এই পর্যালোচনা মিশন। পরদিন থেকেই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। শেষ বৈঠকটি হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, ঋণের কিস্তি ছাড়ের জন্য আইএমএফ যে শর্ত দিয়েছিল তার বেশ কয়েকটি আগেই পূরণ হয়েছে। তবে রিজার্ভ ও রাজস্ব আহরণের শর্ত পূরণ হয়নি। অবশ্য এজন্য দেশীয় ও বৈশ্বিক কারণই দায়ী। আর সেসব যুক্তিসহকারে আইএমএফের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। বিষয়টি তারা অনুধাবন করেই ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের শুরুতেই ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) বা বর্ধিত ঋণসুবিধা ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএএফএফ) বা বর্ধিত তহবিল সুবিধার আওতায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৩৩০ কোটি ডলার এবং নতুন গঠিত তহবিল রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১৪০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে।

কিছুদিনের মধ্যেই ওই ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৪৭৬ মিলিয়ন বা ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ ।

এদিকে আইএমএফ সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি আটকে দিয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার কমে আসায় শ্রীলঙ্কা নীতি সুদহার ১০০ ভিত্তি পয়েন্ট কমিয়ে দেয়ায় সংস্থাটি দেশটিকে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ আটকে দেয়।

ব্যাংকারদের মতে, গভর্নর আবদুর রউফের নেয়া সুবিবেচনাপ্রসূত মুদ্রানীতিতে আস্থা রেখেছে আইএমএফ। আর এ কারণেই শ্রীলঙ্কায় আটকে দিলেও বাংলাদেশকে অর্থ ছাড়ের আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে যে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল তা অনেকটাই কেটে যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর