বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশের অর্থনীতিতে যেসব চ্যালেঞ্জ দেখছে সিপিডি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ মে, ২০২৩ ১৪:১০

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, আমাদের যে অর্থনীতি বর্তমানে এগোচ্ছে, সেখানে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ প্রতিভাত হচ্ছে। আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এখন যে গতিধারাটা আমরা দেখছি, বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ কঠিন কিছু সমস্যার মুখোমুখি রয়েছে। একটি হচ্ছে বাহ্যিক, আরেকটি হচ্ছে অন্তর্নিহিত বা ভেতরের।’

দেশের অর্থনীতি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২২-২৩: ‍তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শিরোনামে পর্যালোচনায় সিপিডি বিষয়টি জানিয়েছে।

ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে শনিবার বেলা সোয়া ১১টার পর থেকে পর্যালোচনাটি তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

বাহ্যিক চ্যালেঞ্জ

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, আমাদের যে অর্থনীতি বর্তমানে এগোচ্ছে, সেখানে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ প্রতিভাত হচ্ছে। আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এখন যে গতিধারাটা আমরা দেখছি, বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ কঠিন কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। একটি হচ্ছে বাহ্যিক, আরেকটি হচ্ছে অন্তর্নিহিত বা ভেতরের।

‘বাহ্যিক যে কারণগুলো আমরা দেখি, আমরা শুরু করেছিলাম সেই কোভিডের সময় থেকে। ২০২০ সালে যখন কোভিড প্যানডেমিকের (করোনাভাইরাস মহামারি) প্রতিঘাত সেটি এবং সেটা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই আমরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মুখোমুখি হই ২০২০-এর ফেব্রুয়ারি মাসে এবং এই ফ্যাক্টরগুলো, এই অনুঘটকগুলোর কারণে আমরা দেখছি যে, আন্তর্জাতিক বাজারে যে পণ্যের মূল্য, সেটি অত্যন্ত উচ্চ দিকে, ঊর্ধ্বগতির দিকে গিয়েছিল এবং তার ফলে আমদানি পণ্যমূল্য বেড়ে যায় এবং আমদানি যে মূল্যস্ফীতি, আমদানির মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতি সেটা এবং তা ছাড়া আমাদের সরবরাহ শৃঙ্খলে একটা ব্যাঘাত ঘটেছিল, সেটার কারণে কিন্তু এই মূল্যস্ফীতি, বিশেষ করে এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ আমাদের এখানে দেখা দিচ্ছে।’

অন্তর্নিহিত চ্যালেঞ্জ

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আর অভ্যন্তরীণ যে কারণগুলো, সেগুলো তো আমরা দেখছি…আমাদের অন্তর্নিহিত যে কাঠামোগত দুর্বলতা, অর্থনীতিতে এবং নীতি নেয়ার ক্ষেত্রে একটা পূর্ণাঙ্গ নীতি না, কিছু কিছু সঠিক নীতিমালার একটা অভাব এবং যে নীতিগুলো নেয়া হয়, সেগুলো বাস্তবায়নেরও দুর্বলতা এবং তা ছাড়া সুশাসনের ঘাটতি এবং আমরা যে সমস্ত সংস্কারের কথা বলছি, সেই সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যর্থতার কারণেও কিন্তু আমরা অনেক সমস্যাগুলো এখন দেখছি, যেগুলো খুব গুরুতরভাবে প্রতিভাত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু ২০২২-এর জুলাই মাস থেকেই এই যে অর্থনীতির যে দুর্বলতাগুলি কোথায় এবং সেখানে প্রেশার পয়েন্টগুলো কোথায় এবং এগুলো যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা প্রভাব ফেলবে, সেগুলোর ব্যাপারে কিন্তু ক্রমাগতভাবে বলে এসেছি এবং ২০২৩ অর্থবছরের সামষ্টিক অর্থনীতির যে স্ট্রেসগুলো, অভিঘাতগুলো, সেগুলো যদি আমরা দেখি, সেগুলোর মূল মূল জায়গাগুলো কীভাবে প্রতিভাত হচ্ছে?

‘একটি হচ্ছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালন। সেখানে কিন্তু আহরণ কম এবং যার ফলে আমাদের রাজস্বের ক্ষেত্রে একটা স্বাধীনতা, ফিসকাল স্পেস, সেখানে কিন্তু একটা সংকোচন ঘটছে এবং তার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়াটা বাড়ছে সরকারের। সরকারের যে বাজেট ঘাটতি, সে ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার ব্যাপকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে এবং তা ছাড়া যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে, সেখানে আমরা দেখছি যে তারল্যের একটা নিম্নগতি এবং প্রাইসের কথা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতির কথা, লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি এবং সেটিও আমরা দেখতে পাচ্ছি।’

বহিঃখাত

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘…আমাদের যে বহিঃখাত, সেই বহিঃখাতের যে ভারসাম্য, সেটার ক্ষেত্রে একটা অধোগতি, নিম্নগতি, এই ভারসাম্যের ক্ষেত্রে এবং তার পাশাপাশি আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে একটা নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে এবং এর মধ্যে আমরা দেখছি যে, এই প্রেক্ষিতটার কারণেই, এই স্ট্রেসগুলোর কারণে আমরা দেখছি যে, আমরা এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ঋণ নিয়েছি, যাতে কিনা আমাদের যে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, সেটা আমরা ফিরে পাই।’

এ বিভাগের আরো খবর