চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য পণ্যভর্তি ৭৩টি কনটেইনার ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টম হাউস।
সোমবার থেকে নগরীর আনন্দবাজারে সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং ইয়ার্ডে পচনশীল পণ্যের এসব কনটেইনার ধ্বংস করা হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. মাহফুজ আলম রোববার সন্ধ্যায় জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পচনশীল পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে খালাস না করায় দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘ধ্বংস কমিটি’ রয়েছে।
কমিটির ২৫ অক্টোবরের সভায় ৭৩ কনটেইনার ধ্বংসের সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে বন্দরের ভেতরে ১২টি এবং বিভিন্ন অফডকে ৬১টি কনটেইনার রয়েছে। এসব কনটেইনারে আদা, সুপারি, খেজুর ও মাছের খাবারের মতো বিভিন্ন পচনশীল পণ্য রয়েছে।
আনন্দবাজারে সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি করে কনটেইনার ধ্বংস করা হবে।
তিনি বলেন, ‘পরিবেশসম্মত উপায়ে পচনশীল পণ্যে ভরা এই ৭৩টি কনটেইনার ধ্বংস করা হবে। এটা চলমান প্রক্রিয়া, বন্দরের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৭ হাজার কনটেইনার দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে, এগুলো নিলাম অযোগ্য। সেখান থেকে আমরা যাচাই-বাছাই করে ধ্বংসের জন্য নির্ধারণ করি।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, বন্দরের পচনশীল পণ্য ধ্বংসের কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. মুসফিকুর রহিম এবং নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন সদস্যসচিব।
ধ্বংসের পর বন্দর থেকে এসব কনটেইনার সরিয়ে নেওয়া হবে। এতে বন্দরের কিছু জায়গা খালি হবে বলে জানান সহকারী কমিশনার মো. মাহফুজ আলম।