দেশে উৎপাদিত পাট দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৮২ ধরনের পাটজাত পণ্য তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
রোববার পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য দেন।
জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) উদ্যোগে রাজধানীর মতিঝিলের করিম চেম্বারে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
পাঁচদিনের এই প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে।
এবার মেলায় ৩৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
মেলায় বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তারা দেশে উৎপাদনরত ২৮২ ধরনের পাটপণ্যের প্রদর্শনী করছেন।
জেডেপিসির নির্বাহী পরিচালক রেখা রাণী বালোর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘জেডিপিসি- এর মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্ব দিয়েছে। এর সুফলও পেয়েছে দেশ। যার ধারাবাহিকতায় দেশে উৎপাদিত ২৮২ ধরনের পাটজাত পণ্যের অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তবে পাটজাত পণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।’
এ লক্ষ্যে পাটমন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘বহুমুখী পাটপণ্যের রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণ করতে দেশে ও বিদেশে বেশি বেশি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা নিতে হবে। যত পারেন পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রপ্তানি করতে উৎসাহী হবেন। এ বছর মেলা কয়টি করবেন আমাদের জানাবেন। অনেক উদ্যোক্তাই দেশের বাইরে যেতে পারেন না। মেলা হলে তারা লাভবান হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাটখাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে। বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের চলমান পৃষ্ঠপোষকতার কারণে পাটখাতের ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধশালী করতে সক্ষম হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে জেডেপিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার-প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার কাজ চলছে। এসব মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হবে।