চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসার পাঁচ দিন পরও কুষ্টিয়ার বাজারে দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। এরই মধ্যে খুচরা বাজারে ভারতের বিজয়ভোগ নামে মিনিকেট চাল চলে এসেছে। কিন্তু স্থানীয় চালের সমান ৭১ টাকা কেজি দরেই তা বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি ঘোষণায় গত ২৮ আগস্ট চাল আমদানিতে যে ২৫ শতাংশ শুল্ক ছিল, তা কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়। সে সময় মিল মালিকরা বলেছিলেন, চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমে আসবে। কিন্তু বাজারে এখনও মিনিকেট চালের দাম না কমায় হতাশ ক্রেতারা।
যদিও রাজধানীতে কেজি প্রতি এক থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত দাম কমার তথ্য মিলছে।
সকালে কুষ্টিয়ার পৌর বাজারে চাল কেনার সময় সেলিনা আক্তার নামে এক ক্রেতা সরকারের মনিটরিং জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ভারতেও চালের দাম বেশি। শুল্ক কমানোর পরও আমদানি করে এপারে আনতে মিনিকেট ৬৬ টাকা কেজি পড়ছে। তার ওপর পরিবহন খরচ ও হাতবদলের মুনাফায় কুষ্টিয়া পর্যন্ত আসতেই ৭০ টাকা পড়ে যাচ্ছে।’
কুষ্টিয়া পৌর বাজারের মা স্টোরের বিক্রেতা মনজুরুল আহমেদ রিপন বলেন, ‘আমদানির পর কয়েক হাত ঘুরে খুচরা বাজারে আসছে। এখন বাজারে যে ভারতীয় চাল দেখছেন, তা বেনাপোল থেকে আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিনেছিলেন এক ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে কিনেছেন বিত্তিপাড়ার এক পাইকারি ব্যবসায়ী। সেখান থেকে কুষ্টিয়ার বাজারে এসেছে।
‘এই চালের দাম পড়েছে ৭০ টাকা কেজি। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭১ টাকায়। এ কারণে কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামের মিল মালিকরা চালের দাম একই রেখেছেন। দেশি ও ভারতীয় দুই চালই এখানে ৭১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
চালকল মালিক সমিতির কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, ‘চাল আমদানি চলছে। বেশি করে চাল এলে কয়েক দিনের মধ্যে দাম কমে যাবে।’
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানালেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম। তিনি জানান, এর বাইরেও নজরদারি চলছে।