বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাঠ পর্যায়েও আমলাতন্ত্রের পরিবর্তন চান সালমান

  • বীর সাহাবী   
  • ৩১ আগস্ট, ২০২২ ১৬:১৩

আমলাতন্ত্রের সমস্যা আছে স্বীকার করে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমি সব সময় বলি যে উচ্চমানের আমলাতন্ত্রের কাছে আগে সবকিছু বন্দি ছিল। তবে এখন উচ্চপর্যায়ে সমস্যা কমেছে। আমলাতন্ত্রের উচ্চপর্যায়ে ইতিবাচক মানসিক পরিবর্তন এসেছে। তবে নিম্ন পর্যায় ও মাঠ পর্যায়ে এখনও সমস্যা রয়ে গেছে।‘

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান মনে করছেন, দেশে উচ্চপর্যায়ে আমলাতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন এসেছে, তবে মাঠ পর্যায়ে এখনও রয়ে গেছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সংস্কার করা গেলে রপ্তানিমুখী প্রতিটি খাতের উন্নতি করা সম্ভব।

রপ্তানি বাণিজ্য সুবিধার উন্নতি বিষয়ে বুধবার পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের (পিআরআইবি) আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মত দেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘দেশে গত ১৫ বছরে জিডিপি বেড়েছে ১০ বারের বেশি। প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য সবকিছু করে যাচ্ছেন। দেশ সে অনুযায়ী এগোচ্ছেও। তারপরেও কিছু সেক্টরে সমস্যা রয়েই গেছে।

‘প্রধানমন্ত্রী অনেকবার বলেছে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি অনেক সফল, তাহলে অন্য এক্সপোর্ট সেক্টর কেন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির মতো সফল হচ্ছে না? অন্য সেক্টরের মানুষেরা অভিযোগ করছেন গার্মেন্টস সেক্টরের মতো তারা সুবিধা পাচ্ছেন না। আমাদের সিরিয়াসলি অন্য সেক্টরের দিকে মনযোগ দিতে হবে, যেমনটা আরএমজি এক্সপোর্ট দিকে দিয়েছি।’

আমলাতন্ত্রের সমস্যা আছে স্বীকার করে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমি সব সময় বলি যে উচ্চমানের আমলাতন্ত্রের কাছে আগে সবকিছু বন্দি ছিল। তবে এখন উচ্চপর্যায়ে সমস্যা কমেছে। আমলাতন্ত্রের উচ্চপর্যায়ে ইতিবাচক মানসিক পরিবর্তন এসেছে। তবে নিম্ন পর্যায় ও মাঠ পর্যায়ে এখনও সমস্যা রয়ে গেছে। এনবিআর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা এসব চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে।

‘আমাদের আমলাতন্ত্রের মাঠ পর্যায়ে মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের সবার জিও পলিটিক্যাল সিচুয়েশন নিয়েও ভাবতে হবে, এটা কীভাবে সাপ্লাই চেইনে আঘাত করছে সেদিকে নজর দিতে হবে।‘

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘সাপ্লাই চেইনে সিরিয়াস সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের সবার একযোগে এসব সমস্যা বের করে কাজ করতে হবে। কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগোনো যায়, তা করতে হবে।’

রপ্তানি বাড়াতে বন্দনের সুযোগ সুবিধা আরও বাড়ানোর ওপরেও জোন দেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, ‘চিটাগং পোর্টের ক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে। এ নিয়ে কাজ চলছে। কক্সবাজার জেলার, মাতারবাড়ি এলাকার প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে কাজ চলছে। এটি কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আনা কয়লাবাহী জাহাজ ভেড়ানো জেটিকে সম্প্রসারিত করে পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক বন্দর হিসেবে নির্মাণ করা হবে। এগুলো হয়ে গেলে এক্সপোর্ট আরও বাড়ানো যাবে।’

প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ‘কীভাবে লোকাল প্রাইভেট ও ফরেন প্রাইভেট সেক্টরে আরও বিনিয়োগ আনা যায় আমি সে বিষয়ে কাজ করছি। সরকারের সংস্থাগুোলও কাজ করছে। আপনাদের বুঝতে হবে, আমরা কোনো বিনিয়োগকারী নই, আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাই আমাদের কাজগুলোও সেভাবে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের আইসিটি সেক্টর এগিয়ে যাচ্ছে। এ সেক্টরে কাজ করছে ১৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার। তারা প্রতিনিয়ত দেশকে ডিজিটালি উন্নয়নে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তারা ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করছে, যা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।’

ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পিআরআই-এর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার, পলিসি এক্সচেঞ্জ চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ, আইএফসি ম্যানেজার সেলমা রাজাভেক, এনবিআর সদস্য (কাস্টম অডিট) ড. আব্দুল মান্নান সিকদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক, বিজিএমইএর পরিচালক ও সিএসইর সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এমডি এনামুল হক, এফসিডিওর ডেপুটি ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টর ডানকান ওভারফিল্ড, আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার মারটিন হটম্যানসহ অনেকে।

পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে যে ভিশন নিয়েছে সে অনুযায়ী এগোচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে এগিয়ে যাচ্ছে।‘

এনবিআর ভ্যাটের সদস্য আব্দুল মান্নান শিকদার বলেন, ‘আমাদের হাতে অনেকগুলো প্রজেক্ট আছে, বিশ্বব্যাংক আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বন্ড ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট আছে যা খুব ভালো ভাবেই শুরু হচ্ছে। এনবিআর সব সময় চেষ্টা করে অংশীজনদের অংশগ্রহণে ইতিবাচক কিছু করতে।’

বিজিএমইএ পরিচালক ও সিএসই সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম বলেন, ‘বন্ডেড ওয়্যারহাউজ ইস্যু নিয়ে বলতে গেলে কাস্টমসে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হই। আমরা যখন কোনো নতুন প্রোডাক্ট আনতে চাই বন্ডেড ওয়্যারহাউজে তখন সমস্যা পোহাতে হয়।’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এমডি এনামুল হক বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশকে অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। জিএসপি অ্যান্ড জিএসপি প্লাস পেতে হলে ২০৩০ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।‘

ওয়েবিনার শুরু করেন পিআরআইবির নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর ও সঞ্চালনা করেন চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার।

এ বিভাগের আরো খবর