জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে রাখা সঠিক ছিল বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন দাবি করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি জোসেফ ফার্নান্দেজের সঙ্গে দেশটিতে বৈঠকের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জ্বালানি সংকটের কথা সামনে আনেন প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘খাদ্য, সার ও জ্বালানির ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেয়নি। রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে জ্বালানি তেল আনার কথা ভাবছে সরকার।
‘দেশের কিছু পক্ষ, কিছু কিছু মিডিয়া জ্বালানি সংকটের বিষয়টিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলছে। এটা একদম ভুল কথা।’
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। সে সময় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা ঠিক করা হয়। এ ছাড়া প্রতি লিটার অকটেনের দাম ১৩৫ এবং পেট্রলের মূল্য ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
ওই দর নির্ধারণের তিন সপ্তাহের বেশি সময় পর লিটারে ৫ টাকা কমানো হয় জ্বালানি তেলের মূল্য। নতুন এ মূল্য কার্যকর হয় ২৯ আগস্ট মধ্যরাত থেকে।
জ্বালানি তেলের দরবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তৌফিক বলেন, ‘এনবিআরের পুরো ট্যাক্স কমালে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর দরকার নেই, কিন্তু কর না দিলে বাজেট কী করে হবে? ফলে এনবিআরের ট্যাক্স কমিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানো যথাযথ না। আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে তেল বিক্রির দিকেই যেতে হবে।’
তার দাবি, বিশ্বের বর্তমান সংকটে অনেক দেশ পড়ে যাবে, কিন্তু বাংলাদেশ টিকে যাবে।
বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে দেশটির আন্ডার সেক্রেটারি জোসেফ ফার্নান্দেজের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তৌফিক ইলাহী।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্থানীয় নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখানে স্বাধীন। সকল আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করেই নির্বাচন হবে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পাঠানোর অনুরোধ জানান তিনি (ফার্নান্দেজ)।’