বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন গভর্নরের পদক্ষেপে খেলাপি ঋণ কমবে: তারেক রিয়াজ খান

  •    
  • ১৪ আগস্ট, ২০২২ ১০:৫৩

পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান বলেন, ‘করোনার সময় সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কিছু পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিটা থেমে যায়নি। বিভিন্ন সময়ে লকডাউন দেয়া হয়। সবকিছু বন্ধ থাকলে পুরো সময় ব্যাংক খাতের কর্মীরা প্রচণ্ডভাবে এবং সাংঘাতিক একটা হেরোইক পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের অর্থনীতির পাশে থেকেছে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের বড় পদক্ষেপ ছিল প্রণোদনা প্যাকেজ। বাংলাদেশ ব্যাংক এটা বাস্তবায়নে সব সময় সাপোর্ট দিয়েছে। এ জন্য আমি সাধুবাদ জানাই।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কমবে বলে মনে করছেন পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান।

তিনি বলেছেন, ‘নতুন গভর্নর মহোদয় এসে ঋণ পুনঃ তফসিল ও পুনর্গঠনে ব্যাংকগুলোর ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা মানলে, সঠিকভাবে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার ব্যাংকগুলো অনুসরণ করলে আমরা আমাদের ব্যাংকব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারব। ব্যাংকিং খাতের প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণ সামনের দিনে কমে আসবে।’

নিউজবাংলাকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এই আশার কথা শুনিয়েছেন তারেক রিয়াজ খান।

২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পদ্মা ব্যাংকের নবযাত্রা হয়। নবজন্মের পর সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে। এ সময়ে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ কমেছে, মূলধন বেড়েছে। আমানত বেড়েছে কয়েক গুণ।

ব্যাংকটির ৬০ শতাংশ ইক্যুইটি রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কাছে। ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পদ্মা ব্যাংক। এ বছরের শেষ নাগাদ বেসরকারি খাতের এই ব্যাংকটিতে আসছে বিদেশি বিনিয়োগ।

মহামারি করোনার ধকল কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় ওলটপালট হয়ে যাওয়া বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের চ্যালেঞ্জ, মুদ্রাবাজারের অস্থিরতা, খেলাপি ঋণ, নতুন গভর্নরের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপসহ ব্যাংক খাতের নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলছেন পদ্মা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী তারেক রিয়াজ খান।

নিউজবাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান। ছবি: নিউজবাংলা

নিউজবাংলা: করোনা-যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশ এর বাইরে নেই। করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাংক খাত গ্রাহকদের সেবা দিয়েছে। সেই ব্যাংক খাতের সার্বিক অবস্থা এখন কেমন?

তারেক রিয়াজ খান: করোনার সময় সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কিছু পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিটা থেমে যায়নি। বিভিন্ন সময়ে লকডাউন দেয়া হয়। সব কিছু বন্ধ থাকলে পুরো সময় ব্যাংক খাতের কর্মীরা প্রচণ্ডভাবে এবং সাংঘাতিক একটা হেরোইক পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের অর্থনীতির পাশে থেকেছেন। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের বড় পদক্ষেপ ছিল প্রণোদনা প্যাকেজ। বাংলাদেশ ব্যাংক এটা বাস্তবায়নে সব সময় সাপোর্ট দিয়েছে। এ জন্য আমি সাধুবাদ জানাই। প্রণোদনার সুফল প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার ফলে অর্থনীতির অগ্রযাত্রা থেমে যায়নি।

করোনায় এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি, তৃতীয় ঢেউ চলমান। করোনা-পরবর্তী এখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলছে। গ্লোবাল ইকোনমিতে এটার প্রভাব পড়ছে। জ্বালানি তেল, খাদ্যপণসহ সব কমোডিটির মূল্যের ওপর বেশি প্রভাব পড়েছে।

সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। ফলে কৃচ্ছ্রসাধন করছে সবাই। আমাদের দেশেও কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটা ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে আমি মনে করি।

নিউজবাংলা: সারাবিশ্বে অস্থির ডলার বাজার। মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। মানি এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকগুলোতে চলছে পরিদর্শন কার্যক্রম। ডলার সাশ্রয়ে আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফলে আমদানি কমতে শুরু হয়েছে। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে কি এর সুফল পাওয়া যাবে?

তারেক রিয়াজ খান: ডলারের যে সংকট হচ্ছে- এটা কমন ফেনোমেনা। কারণ আমদানি খরচ বেড়েছে। কমোডিটি প্রাইস বেড়েছে। আমরা আমদানিনির্ভর দেশ। রপ্তানির চেয়ে আমদানি অনেক বেশি করতে হয়। কমোডিটি, ফুয়েল, এনার্জি প্রাইস ওভার না হলে ঘাটতি হতো না।

এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্যও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। টাকা অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমদানি কমানোর জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এর সুফল আমরা পাচ্ছি।

ব্যাংক রেটের সঙ্গে কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের পার্থক্য বেশি। কার্ব মার্কেটে বা মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো চড়া দামে ডলার বিক্রির কারণে আমাদের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আরও কঠোর হয়েছে। বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠানের লাভের আগে দেশের ভালো সবার মাথায় রাখতে হবে। দেশ ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে আমরা ভালো দিন দেখতে পাব। আমিও সে ব্যাপারে আশাবাদী।

নিউজবাংলা: ব্যাংক খাতের প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণ। এ থেকে উত্তরণের উপায় কী? ঋণখেলাপিদের বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার কারণে অনেকে ইচ্ছা করে ঋণ পরিশোধ করেন না। এই ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি’দের থেকে ঋণ আদায় কি ধরণের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন।

তারেক রিয়াজ খান: খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ‘আগ্রাসী ব্যাংকিং’ শব্দটা মাঝে মাঝে আমরা ব্যবহার করি। আগ্রাসী ব্যাংকিং ও প্রুডেন্ট ব্যাংকিং-এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। প্রফেশনাল ব্যাংকারদের এ বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।

আমরা অনেক ক্ষেত্রে বলছি, ঋণগ্রহীতারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। তাদের দোষ দেয়ার আগে নিজের কাঁধে দোষটা নিতে হবে। আমি কেন, ওই লোনগুলো এক্সটেন করছি, কেন আননেসাসারিলি নর্মস ও ক্রেডিটের যে স্ট্যান্টার্ডগুলো আছে, ক্রেডিট পলিসির যে গাইডলাইন আছে সেগুলো বাইপাস করে কেন আমরা একটা অসুস্থ প্রতিয়োগিতায় লিপ্ত?

ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি ও প্রফেশনাল ব্যাংকাররা যদি স্ট্রং হয়ে যায়, কঠিন একটা জায়গায় যদি চলে যায় যে, না আমরা আমাদের ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাব, দেশকে বাঁচাব তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের অবস্থা অনেক ভালো হবে।

সোয়া লাখ কোটি টাকার ওপর যে খেলাপি ঋণ সেখানে বসে থাকলে হবে না। এর থেকে আলোর পথে এগোতে হবে। সেই পথে এগোনোর জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেয়া পদক্ষেপের আবারও স্যালুট জানাই। কারণ সম্প্রতি ঋণ পুনঃ তফসিল ও পুনর্গঠনে মাস্টার সার্কুলার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নির্দেশনার আলোকে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবাদিহি নিশ্চিত করা হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ অপারেশনাল না। নতুন গভর্নর এসে ঋণ পুনঃ তফসিল ও পুনর্গঠনে ব্যাংকগুলোর ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা মানলে, সঠিকভাবে সার্কুলার অনুসরণ করলে আমরা আমাদের ব্যাংকব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারব। ব্যাংকিং খাতের প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণ সামনের দিনে কমে আসবে।

পদ্মা ব্যাংক সম্পর্কে বলতে হয়, ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি ব্যাংকটির নবজন্ম হয়েছে। এরপর থেকে আমাদের টিম খেলাপি ঋণ কমিয়ে এনেছে। ৭৮ শতাংশ খেলাপি ঋণ এখন ৬৭ শতাংশে নেমেছে। এ বছরে আরও ১০ শতাংশ কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের লোন রিকভারি ডিভিশনকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। রিকভারি রিলেশনশিপ অফিসার হিসেবে যারা ফ্রন্ট লাইনে আছেন তারা ছাড়াও হেড অফিসের মনিটরিং আরও জোরদার করা হয়েছে। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে আমরা খেলাপি ঋণের কশাঘাত থেকে বেরিয়ে আসব।

নিউজবাংলা: নতুন গভর্নর যোগদান করার পর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো দুর্বল ১০ ব্যাংককে সবল করার উদ্যোগ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই না কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাক, যারা দুর্বল তাদের সবল করতে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আমানতকারীদের ব্যাংক খাতের ওপর আস্থা ধরে রাখতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’ নতুন গভর্নরের নতুন এ প্রচেষ্টা আপনি কিভাবে দেখছেন?

তারেক রিয়াজ খান: নতুন গভর্নর মহোদয় যোগদানের পর ব্যাংক খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন, সেগুলো খুবই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। দিকনির্দেশনাগুলো খুব ইউনিক। আমাদের বর্তমানে ৬২টি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি নয়, খেলাপি ঋণ, মূলধন পর্যাপ্ততার হারের দিকে এ সংখ্যা আরও বেশি হবে। ব্যাসেল-৩-এর গাইডলাইন অনুসরণ করে মূলধন সংরক্ষণের বিষয়ে যা বলা হয়েছে, অধিকাংশ ব্যাংক সেটা বাস্তবায়নে স্ট্রাগল (লড়াই) করে যাচ্ছে। কিন্তু চারটি প্রাইমারি ইন্ডিকেটরের (সূচক) ওপর বেজ করে ১০টি ব্যাংককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের হার, লিকুইডিটি, মূলধন সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা সঞ্চিতি- এ চারটি ইন্ডিকেটর ছাড়াও আরও কিছু সাব-ইন্ডিকেটর রাখা হয়েছে।

নতুন গভর্নর যে স্ট্রাটেজিক প্ল্যান নিয়েছেন, সেটা শুধু ব্যাংকগুলো বাঁচানোর জন্য নয়। এরা যেন আরও শক্তিশালী হয়, সে চেষ্টাও করছেন। এসব ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক একটা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করে কিছু ইন্ডিকেটরের ব্যাপারে উল্লেখ করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা এসব তদারকি করবেন।

পদ্মা ব্যাংকে রেগুলেটর হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অলরেডি তিনটি পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে। যেমন- আমাদের ফিন্যানশিয়াল স্টেটমেন্ট রিস্ট্রাকচারিং করে দিয়েছে।দ্বিতীয়ত- ক্যাপিটাল রিস্ট্রাকচারিংয়ের ফলে পেইড আপ ক্যাপিটাল ফিরে পেয়েছি। তৃতীয়ত-রিভাইজড লিক্যুইডিটি ফ্রেমওয়ার্ক। এটার ফলে ব্যাংকে নগদ জমার হার (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ সংরক্ষণের হারের (এসএলআর) ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু সুবিধা দিয়েছে। ফলে আমাদের লিক্যুইডিটির অনেক উন্নতি হয়েছে। রিভাইজড লিক্যুইডিটির ফলে আমরা এ মুহূর্তে মানি মার্কেটে নেট বরোয়ার না, নেট লেন্ডার। আমরা অন্যান্য ব্যাংককে লিক্যুইডিটি সাপোর্ট দিচ্ছি।

নিউজবাংলা: এখন দেশে অনেক ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তীব্র প্রতিযোগিতামূলক এ সময়ে ব্যাংক খাতের সামনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে?

তারেক রিয়াজ খান: আমাদের ব্যাংক খাত ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ট্রাডিশনাল ব্যাংকিং দিয়ে আমরা বেশি দিন চালাতে পারব না। নতুন জেনারেশন ব্যাংকে যায় না। মোবাইল অ্যাপ-ইন্টারনেটে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। এ কম্পিটিশনে বেঁচে থাকা এবং নিজেকে সেভাবে গড়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ।

পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে অলরেডি কোর ব্যাংকিং সিস্টেম মাইগ্রেশন অ্যাপ্রুভাল পেয়েছি। পদ্মা ওয়ালেট ও পদ্মা ইন্টারনেট ব্যাংকিং পুরোপুরি ঢেলে সাজাচ্ছি। আমরা নিজেদের ভালোভাবে তৈরি করছি, আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে ডিজিটাল স্যাভিব্যাংকে পরিণত হওয়ার জন্য। এ প্রতিযোগিতায় পদ্মা ব্যাংক অবশ্যই টিকে থাকবে।

পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিউজবাংলার প্রতিবেদক মৌসুমী ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা

নিউজবাংলা: পদ্মা ব্যাংকের গ্রাহকদের উদ্দেশে কিছু বলুন।

তারেক রিয়াজ খান: গ্রাহকের বলতে চাই, ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পদ্মা ব্যাংকের নবযাত্রা হয়েছে। ব্যাংকের ৬০ শতাংশ ইক্যুইটি হোল্ড করছে রাষ্ট্রীয় ব্যাংক সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ। আমাদের শক্তিশালী পরিচালনা পর্ষদ আছে। এখানে ইনডিভিজ্যুয়াল কোনো ডিরেক্টর নেই। সবাই প্রাতিষ্ঠানিক ও নমিনেটেড। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নির্দেশে খুব তাড়াতাড়ি একটা এমওইউ করব। সেখানে অনেকে কী পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর এগ্রি করব। বেশ কিছু সাপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পেয়েছি। এ বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা ব্যাংকে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের (এফডিআই) মাধ্যমে ফরেন ইক্যুইটি ইনজেক্ট করে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থান আরও বাড়িয়ে নেব।

আমানতকারীদের উদ্দেশে বলতে চাই, ব্যাংকের কাছে আপনাদের যে টাকা জমা সেটা সম্পূর্ণ নিরাপদ। গত বছরের তুলনায় আমানত চার গুণ বেড়েছে এবং এটা হয়েছে আমানতকারীদের আস্থার কারণে। আমানতকারীদের এই আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট ও পরিচালনা পর্ষদ বদ্ধপরিকর।

এ বিভাগের আরো খবর