বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পতন থামল, গতি ফিরল লেনদেনেও

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২২ ১৪:৫৬

প্রথম ২০ মিনিটে ৫৫ পয়েন্ট সূচক বেড়ে যায়। সে সময় সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ঊর্ধ্বমুখি। পরে লেনেদেন শেষ হওয়ার আগে আগে এক পর্যায়ে সূচক পড়ে যায় কি না, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। বেলা ১৩টা ৪১ মিনিটে সূচক দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কমে যায় ৪৮ পয়েন্ট। সে সময় আগের দিনের চেয়ে বেশি ছিল কেবল ৭ পয়েন্ট। তবে শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে আর কমেনি। বরং কিছুটা বাড়ে। বেলা আড়াইটায় যখন লেনদেন শেষ হয়, সে সময় সূচক আগের দিনের চেয়ে বেশি ছিল ১৩ পয়েন্ট।

আগামী অর্থবছরের বাজেট পেশের পর টানা তিন কর্মদিবস পতন শেষে অবশেষে সূচক কিছুটা বাড়ল পুঁজিবাজারে। বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর, গতি ফিরেছে লেনদেনেও।

রোব থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১১৮ পয়েন্ট দরপতনে নতুন করে যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছিল, তা থেকে বের হয়ে চাপ কাটবে কি না, এ নিয়ে নানা সমীকরণের মধ্যে বুধবার লেনদেন শুরুই হয় শেয়ারদর বেড়েছে।

প্রথম ২০ মিনিটে ৫৫ পয়েন্ট সূচক বেড়ে যায়। সে সময় সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ঊর্ধ্বমুখি। পরে লেনেদেন শেষ হওয়ার আগে আগে এক পর্যায়ে সূচক পড়ে যায় কি না, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।

বেলা ১৩টা ৪১ মিনিটে সূচক দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কমে যায় ৪৮ পয়েন্ট। সে সময় আগের দিনের চেয়ে বেশি ছিল কেবল ৭ পয়েন্ট। তবে শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে আর কমেনি। বরং কিছুটা বাড়ে।

বেলা আড়াইটায় যখন লেনদেন শেষ হয়, সে সময় সূচক আগের দিনের চেয়ে বেশি ছিল ১৩ পয়েন্ট।

দিন শেষে বেড়েছে ১৭১টি কোম্পানির দর, কমেছে ১৬১টির আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৪৬টির দর।

লেনদেনের গতিও ছিল ভালো। বাজেট পেশের সপ্তাহে যখন পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন বাড়ছিল, সে সময় ৬ জুন লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই হয়ে যায় হাতবদল হয় ৮৬৪ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। সেখান থেকে কিছুটা কমে হাতবদল হয় ৯৪৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ

খাতওয়ারি প্রবণতা বিবেচনা করলে এদিন সবচেয়ে ভালো গেছে বস্ত্র খাতের। এই খাতের ৫৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪০টির, কমেছে ১৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ছয়টির দর।

প্রধান খাতগুলোর মধ্যে চাঙা ছিল প্রকৌশল খাতও। এই খাতে দর বাড়ে ২৬টির, কমে ১০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৬টির দর।

ব্যাংক, খাদ্য, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং আর্থিক খাতে ছিল মিশ্র প্রবণতা।

অন্যদিকে সূচক বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। সূচক যতটা বেড়েছে তার অর্ধেকের বেশি ৮.১৮ পয়েন্ট বাড়িয়েছে এই কোম্পানিটি। পতনের মধ্যে থাকা কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩.০৬ শতাংশ বেড়েছে।

এই গ্রুপের আরও দুই কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকও সূচকে বেশ কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪.৮২ শতাংশ দর বেড়েছে আরএকে সিরামিকসের দর ১০ শতাংশ বাড়ায়। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২.৫৫ পয়েন্ট সূচক বেড়েছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের দর ৪.০৭ শতাংশ বাড়ায়।

এছাড়া বেক্সিমকো ফার্মা ২.৩৫ পয়েন্ট, ইউনিক হোটেল ২.০৪ পয়েন্ট, আইসিবি ১.৭৪ পয়েন্ট, আইপিডিসি ১.০৭ পয়েন্ট, শাইনপুকুর সিরামিকস ০.৯৯ পয়েন্ট, ব্যাংক এশিয়া ও জিপিএইচ ইস্পাত ০.৮৪ পয়েন্ট করে সূচক বাড়িয়েছে।

সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ২৫ পয়েন্ট।

অন্যদিকে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর দর ০.৯৮ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৬.৯৮ পয়েন্ট।

এছাড়া বিকন ফার্মা ২.৯৯ পয়েন্ট, রেনাটা ২.০৮ পয়েন্ট, স্কয়ার ফার্মা ১.৯১ পয়েন্ট, রবি ১.২৫ পয়েন্ট, প্রাইম ব্যাংক ০.৮১ পয়েন্ট, এনবিএল, বার্জার পেইন্টস ও সিটি ব্যাংক সূচক কমিয়েছে ০.৭৭ পয়েন্ট করে।

সব মিলিয়ে শীর্ষ ১০ কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৯.৯৩ পয়েন্ট।

দর বৃদ্ধির শীর্ষে ফের দুর্বল কোম্পানির প্রাধান্য

সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ করে দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের। একই পরিমাণ দর বেড়েছে আরএকে সিরামিকসেরও।

লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানি হাক্কানি পাল্পের অবস্থান ছিল এর পরে, যার দর বেড়েছে ৯.৮৫ শতাংশ।

এছাড়া কেডিএস একসেসোরিজের দর ৮.৩১ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়ারের দর ৭.০৫ পয়েন্ট, দুর্বল কোম্পানি ফুওয়াং সিরামিকসের দর ৬.৭০ শতাংশ, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৫.৯৯ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকদের দর ৫.৭৭ শতাংশ, জুট স্পিনার্সের দর ৫.৫১ শতাংশ এবং অলিম্পিক অ্যাকসেসোরিজের দর বেড়েছে ৫.৪০ শতাংশ।

আরও ১১টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ১৩টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ২৯টির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।

দর পতনের শীর্ষ তালিকায় বিমার প্রাধান্য

সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে আর্থিক খাতের কোম্পানি বিআইএফসি। ১০ টাকার শেয়ারে ১২ টাকার বেশি লোকসান দেয়ার কারণে কোম্পানিটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই খবরে কোম্পানিটির দর কমেছে ৫.৮৮ শতাংশ। ৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে শেয়ারদর নেমে এসেছে ৬ টাকা ৪০ পয়সায়।

এর পরের দুটি কোম্পানি ছিল সাধারণ বিমা খাতের বিজিআইসি ও পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।

এর মধ্যে বিজিআইসি শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা আর পূরবী শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এই খবরে বিজিআইসির শেয়ার দর কমেছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা আর পূবরীর ১ টাকা ৮০ পয়সা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণা ছাড়া বাকি কোম্পানিগুলোর দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ২ শতাংশ। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১.৯৯ শতাংশ দর হারিয়েছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট। আরও অসংখ্য কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে দিনের সর্বনিম্ন সীমা ছুঁয়ে।

কোম্পানিগুলো হলো রেনউইক যগেশ্বর, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, বিকন ফার্মা, জেমিনি সি ফুড ও এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ছিল এই তালিকায়।

এ বিভাগের আরো খবর