বাজেটে ৭ শতাংশ কর দিয়ে পাচারকৃত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেয়াটাকে অনৈতিক বলে মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। এতে দুর্নীতির প্রবণতা বৃদ্ধি পায় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় নিউজবাংলাকে তিনি এসব কথা বলেন।
এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, বাজেট ঘাটতি কিছুটা বাড়িয়ে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো যেত। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাজেট ঘাটতি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরেকটু বেশি হলেও তা গ্রহণযোগ্য হতো।
সাবেক এই অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘৭ শতাংশ কর দিয়ে পাচারকৃত টাকা বৈধ করার সুযোগ দিলেও খুব একটা অর্থ দেশ আসবে না। আর এটাকে অনৈতিক বলে মনে করি।
‘সৎভাবে আয় করে দেশের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কর দিচ্ছে কেউ। আরেকজন অবৈধভাবে টাকা আয় করে বিদেশে পাচার করছে এবং মাত্র ৭ শতাংশ কর দিয়ে টাকা বৈধ করছে।
‘এটা বৈষম্যমূলক ও অনৈতিক। এর ফলে মোটিভেশন আসে যে, এই আইন তো বহাল থাকবে, তাহলে অবৈধভাবে টাকা আয় করে পরে ৭ শতাংশ হারে কর দেব। এটা সমর্থনযোগ্য না।’
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘বাজেটে বিভিন্ন খাতে আরও বেশি বরাদ্দ বাড়ানো যায় কি না সেটা ভেবে দেখা যেত। এর ফলে যেটা হতো, বাজেটে ঘাটতির মাত্রা বেড়ে যেতে পারত। ঘাটতির মাত্রা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে, এটা ৬ শতাংশ করা হলেও আমার দিক থেকে আপত্তি থাকতো না।
‘বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখতে পাচ্ছি, বিশ্বের সব দেশেই বাজেট ঘাটতি বাড়ছে। আর আমাদের তো রাজস্ব আয়সহ নানা ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। ফলে অন্য খাতে বরাদ্দ হয়তো বাড়ানো যেত। সেক্ষেত্রে বাজেট ঘাটতি বাড়ত বা বাড়ানো যেত।’