এখন থেকে রান্নায় ব্যবহৃত সয়াবিন তেল কিনতে হবে ২০০ টাকা ছুঁইছুঁই দামে। ঈদের আগে উধাও হয়ে যাওয়া ভোজ্যতেলের দাম এক লাফে বাড়ানো হলো লিটারে ৩৮ টাকা। নতুন দাম ১৯৮ টাকা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশে তেলের মূল্য সমন্বয় করা হলো।
এখন থেকে খোলা সয়াবিন তেল এক লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে। আর পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হবে ৯৮৫ টাকায়।
এক লিটার পাম তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭২ টাকা।
পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে তোলপাড় সবচেয়ে বেশি। এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের লিটার ছিল ১৩৪ টাকা করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তা নির্ধারণ করা হয় ১৬৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা মার্চ থেকে লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার রাজি না হলে সেদিন থেকে বাজারে সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি।
ভোজ্যতেলের নতুন দাম
এরপর সরকার ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিক্রির ওপর থেকে ভ্যাট পুরোপুরি আর আমদানিতে ৫ শতাংশ রেখে বাকি সব ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়। পরে গত ২০ মার্চ লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৬০ টাকা।
সেদিন পাঁচ লিটারের বোতল ৭৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৭৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এরপর বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এলেও ঈদের আগে আবার অস্থির হয়ে ওঠে বাজার। বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় সয়াবিন তেল। কিছু রাইস ব্র্যান ও সূর্যমুখীর তেল পাওয়া যায়।
আর যেসব দোকানে সয়াবিন তেল ছিল, সেগুলো বিক্রি হচ্ছিল সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে অনেক বেশিতে।
সরবরাহে ঘাটতির বিষয়ে ভোজ্যতেলের অন্যতম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) বিশ্বজিৎ সাহা নিউজবাংলাকে সম্প্রতি বলেন, ‘আপনি ব্যবসা করলে কি লোকসান দিয়ে ব্যবসা করবেন? কোম্পানিগুলোর কী দায় পড়েছে লিটারে ৫০ টাকা লোকসান দিয়ে তেল সরবরাহের।’
বাজারে তেলের সরবরাহে ঘাটতির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ঈদের পর দাম সমন্বয় হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।’