টানা দুই বছর লোকসান দেয়ার পর অবশেষে মুনাফায় ফিরল বহুজাতিক সিমেন্ট কোম্পানি হাইডেলবার্গ।
তবে বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তা দূর হয়নি এ কারণে যে, গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে মুনাফা করলেও শেষ দুই প্রান্তিকে টানা লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১১ টাকা ৭৯ পয়সা। পরের দুই প্রান্তিকে জুলাই থেকে সেপেন্টম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯১ পয়সা এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আরও লোকসান দেয় ১ টাকা ৪৭ পয়সা।
শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালে শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৪১ পয়সা। আর এর মধ্যে ২ টাকা ৬০ পয়সা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ লভ্যাংশের হার ২৬ শতাংশ।
বুধবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগের বছর শেয়ার প্রত ১ টাকা ৪৩ পয়সা লোকসান দিয়েও দুই টাকা অর্থাৎ ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল হাইডেলবার্গ।
১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ব্যবসা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আকর্ষণীয় হারে লভ্যাংশ নিয়ে আসছিল। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে শেয়ার প্রতি লভ্যাংশ দেয়া হয় ৩০ টাকা করে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২৬ টাকা ৬৯ পয়সা।
কিন্তু এর পরের বছর থেকেই কোম্পানিটির অধোগতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৩০ পয়সা লোকসান দিয়ে বসে। এ কারণে সে বছর কোনো লভ্যাংশ পাননি বিনিয়োগকারীরা।
এ কারণে গত দুই বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর অনেকটাই কমে যেতে থাকে। ২০২০ সালের মে-জুনে কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হয় ১৩৭ টাকা ৩০ পয়সা। তবে গত বছর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি মুনাফায় ফেরার কথা জানালে বাড়তে থাকে শেয়ারদর। গত অক্টোবরে শেয়ারদর দুই বছরের সর্বোচ্চ অবস্থান ৩৭৯ টাকায় পৌঁছে। কিন্তু তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসানের তথ্য আসার পর থেকে আবার দাম কমতে থাকে। বর্তমানে শেয়ারদর ২৬৯ টাকা ৯০ পয়সা।
আয়ের পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদও কমেছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৬৮ টাকা ১০ পয়সা। সেটি এবার কমে হয়েছে ৬৬ টাকা ৬০ পয়সা।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে শেয়ার ধরে রাখতে হবে আগামী ৩১ মে। অর্থাৎ সেদিনই হবে কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট। আগামী ২৭ জুন বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে।