দেশে মূল্যস্ফীতির হার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে কী করা যায়, তা নিয়ে ভাবছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বলেছেন, অর্থনীতি এখন শক্তিশালী অবস্থানে আছে। ইউক্রেন-রুশ যুদ্ধ থেমে গেছে আরও ভালো হবে পরিস্থিতি।
বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পণ্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘দাম কেন বাড়ছে- তার ব্যাখ্যা আমি আগে দিয়েছি। আমরা সারা বিশ্বের সঙ্গে একীভূত। অনেক দেশের সঙ্গে লেনদেন করতে হয়। কাজেই জিনিসপত্রের দাম একটু তো বাড়বেই।
‘যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব এখন অস্থির। আশা করছি, যুদ্ধ থেমে যাবে, বিশ্ব স্থিতিশীল হবে এবং বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে।’
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এখন ভালো অবস্থানে- এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যুদ্ধ থেমে যাবে এবং বিশ্ব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এতে দেশের অর্থনীতি আরও মজবুত হবে।’
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সর্বশেষ প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরের জন্য বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির পরিকল্পনায় কোনো কাটছাঁট হতে পারে কি না- এমন প্রশ্নও ছিল অর্থমন্ত্রীর কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। চলতি অর্থবছরের জন্য জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি বহাল থাকবে এবং আমি মনে করি, রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী না হয় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তাহলে প্রাক্কলিত জিডিপি অর্জন সম্ভব হবে।’
আগামী অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ব্যবস্থাপনায় কোনো পরিবর্তন আনা হবে না বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘বাজেটে ভর্তুকির ওপর কোনো চাপ নেই। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি যা ধরা হয়েছে, আমি মনে করি সেটি সহনীয় অবস্থানে থাকবে। যুদ্ধ প্রলম্বিত না হলে বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে বলে আশা করছি।’