ঈদের বাজার সরগরম হয়ে উঠলেও মসলার বাজারে এখনও উত্তাপ লাগেনি।
কোরবানির ঈদ এলেই মসলার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার দেখা যায়। আর এ সুযোগে বাড়ে মসলার দাম।
তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। বলা যায়, এবার গরম মসলার বাজার অনেকটাই ঠাণ্ডা। বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ মসলার দাম বাড়েনি, বরং কিছু কিছু মসলার দাম কমেছে।
রাজধানীর মসলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে তেমন ক্রেতা নেই। ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন। মসলাপণ্যের বাজার মন্দার থাকার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের দেয়া দফায় দফায় কঠোর বিধিনিষেধ, চাহিদা হ্রাস এবং সাধারণ মানুষের আয় কমে যাওয়াকে।
রাজধানীর মৌলভীবাজারের পাইকারি দোকানে দেখা গেছে, মসলার দাম গত বছরের তুলনায় অনেকটাই কম। সেখানকার সোহেল এন্টারপ্রাইজ, ভাতিজা স্টোর, সালাম এন্টারপ্রাইজের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোয়ও ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়নি।
ভাতিজা স্টোরের প্রোপ্রাইটর হাজি বিল্লাল উদ্দিন রিপন বলেন, ‘মসলা বিক্রি একদমই সীমিত। করোনার কারণে ক্রেতা নেই বললেই চলে। কোরবানি উপলক্ষে আগে যে পরিমাণ মসলা বিক্রি হতো, সে তুলনায় এবাবের বিক্রি খুবই কম। খুবই খারাপ সময় যাচ্ছে আমাদের। মসলার দামও আগের তুলনায় অনেকটাই কম।’
সোহেল এন্টারপ্রাইজের সোহেল হোসেন হৃদয় বলেন, ‘লকডাউনে বিক্রি একদম ছিল না। গতকাল কিছু বিক্রি হয়েছে। এখন হচ্ছে টুকটাক। লকডাউনে যে ক্ষতি হয়েছে, সেটা তো আর এই কয় দিনে পুষিয়ে নেয়া যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় মসলার দাম বাড়েনি বরং অনেক মসলার দামই কমেছে।
ভারতের বাজারে দাম কম থাকলে আমাদের বাজারে এর প্রভাব পড়ে। এ বছর ভারতে মসলার দাম কম। তাই বাংলাদেশের বাজারেও মসলার দাম কম।’
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, এখানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায়। এ ছাড়া দারুচিনি ৩৮০ থেকে ৪৮০ টাকা, জায়ফল ৫০০ থেকে ৬০০, জয়ত্রী ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০, গোলমরিচ ৫০০ থেকে ৫৫০, জিরা ২৮০ থেকে ৩৫০, লবঙ্গ ৯৫০ থেকে ১ হাজার, চিনাবাদাম ৯০ থেকে ১০০, কাজুবাদাম ৫৫০ থেকে ৮৫০, তেজপাতা প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৪০ টাকা, ধনিয়া ১১০ থেকে ১৩০ টাকা।
মানভেদে শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ২১০ থেকে ৩০০ টাকা, প্রতি কেজি হলুদ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লকডাউনের সময়েও এসব পণ্যের কোনো কোনোটির দাম কেজিতে ২০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল।