ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তের মেশিন ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকগুলোকে কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে নোট কাউন্টিং মেশিনের মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পশু বিক্রির টাকা গণনার সুবিধা প্রদান করতে হবে।
আরও বলা হয়, সারা দেশের অনুমোদিত কোরবানি পশুর হাটগুলোতে (উপজেলা সদর পর্যন্ত) জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপন করতে হবে। হাট শুরুর দিন হতে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত পশু ব্যবসায়ীদেরকে বিনামূল্যে এ সেবা প্রদান করবে ব্যাংকগুলো।
এর আগে ৮ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একই বিভাগ থেকে ইস্যু করা সার্কুলারে বলা হয়, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে জাল নোট শনাক্তকারী মেশিনের সহায়তায় থাকবে ২১টি ব্যাংকের বুথ।
এসব হাটে সেবা দিতে মনোনীত কর্মকর্তাদের নাম, পদবি ও মোবাইল নম্বরসহ ব্যাংকের সমন্বয়ক হিসেবে মনোনীত একজন উপযুক্ত কর্মকর্তার নাম, পদবি ও মোবাইল নম্বর বুধবারের মধ্যে ইমেইলে পাঠাতে হবে। ব্যাংকের সমন্বয়কারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট হাটে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের কার্যক্রম দেখভাল করবে।
ঢাকার বাইরে যেসব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে সেখানে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসের নেতৃত্বে একই ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্য আঞ্চলিক কার্যালয় বা প্রধান শাখাগুলোকে নির্দেশনা দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস নেই এমন জেলাগুলোর সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও থানা বা উপজেলার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের দায়িত্ব বণ্টনের জন্য সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চেস্ট শাখাগুলোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখা বণ্টিত দায়িত্ব অনুযায়ী অন্যান্য ব্যাংক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শাখাগুলোও যাতে পশুর হাটগুলোতে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা প্রদান করে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।
বুথ স্থাপন কার্যক্রমের সুবিধার্থে ও সহযোগিতার জন্য (প্রয়োজনে) সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, জেলা মিউনিসিপালিটি কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা সংশ্লিষ্ট পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা ও সার্বিক নিরাপত্তার জন্য (প্রয়োজনে) সংশ্লিষ্ট পুলিশ, র্যাব ও আনসার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
বুথে নোট যাচাই করার সময় কোনো জাল নোট ধরা পড়লে জাল নোট পলিসির নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বুথে ব্যাংকের নাম ও তার সঙ্গে জাল নোট শনাক্ত করতে বুথ আছে উল্লেখ করে ব্যানার বা নোটিশ দিতে হবে।
এর আগে সরবরাহ করা ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ভিডিও চিত্রটি ব্যাংকের শাখাগুলোতে ঈদের আগ পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্য স্থাপিত টিভি মনিটরগুলোতে পুরো ব্যাংকিং সময়ে দেখাতে হবে।
দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যাংকের প্রযোজ্য বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
পবিত্র ঈদুল আজহা শেষে পরের ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে এসব নির্দেশনার পরিপালন সংক্রান্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে পাঠাতে হবে।
জাল নোট শনাক্ত করতে বুথে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদেরকে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংক থেকে নিশ্চিত করতে হবে বলেও সার্কুলারে বলা হয়।