শাটডাউনের কারণে কনটেইনার জটের আশঙ্কা করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বন্দরের ভেতরে বিভিন্ন ইয়ার্ডে রাখা কনটেইনার ডিপোতে সরাতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএম কনটেইনার ডিপোকে নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এক চিঠিতে এই নির্দেশ দিয়েছে। নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বন্দর সচিব মোহাম্মদ উমর ফারুক।
তিনি বলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএম কনটেইনার ডিপোকে বন্দর থেকে তিন দিনের মধ্যে কনটোইনার সরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিপোতে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। বর্তমানে ডিপোগামী কনটেইনার মজুদ আছে ২৯ হাজার ২২৪ টিইইউএস। এ ছাড়াও পাইপলাইনে ২ হাজার ৪৩৭ টিইইউএস কনটেইনার ভর্তি জাহাজ ঘাটে বার্থিংয়ের অপেক্ষায় আছে। তাই বন্দরে কনটেইনার জট এড়াতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোকে আমদানি করা লোড কন্টেইনার সরিয়ে নিতে হবে আগামী তিন দিনের মধ্যে।
উমর ফারুক বলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোকে চিঠি দিয়ে শুরু করলাম। বন্দরে জট এড়াতে আমরা প্রত্যেক আমদানিকারককেই চিঠি দেবো।
‘বন্দরে অপারেশনাল কাজে গতি আনতে কনটেইনারগুলো সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানোর চার দিনের মধ্যে বিএলের অন্তর্ভুক্ত সব কনটেইনার যাতে ডিপোতে নেয়া যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে বন্দরের ভেসেল অপারেশন, ইয়ার্ড অপারেশনসহ কনটেইনার অপারেশন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় কনটেইনারগুলো ডিপোতে দ্রুত স্থানান্তর করা জরুরি।’
২০২০-২১ অর্থবছরে ৩০ লাখেরও বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দরে ৪৯ হাজার টিইইউএস কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৭ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে। তবে শাটডাউনের কারণে সীমিত পরিসরে জনবল নিয়ে চলছে বন্দরের কার্যক্রম। যার কারণে কনটেইনার জটের শঙ্কায় রয়েছে সংস্থাটি।