চীন থেকে ২ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ পিস শুল্কমুক্ত প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার আমদানির আড়ালে ৬০ লাখ পিস বিদেশি সিগারেট আমদানি করেছে ঢাকার ফুলবাড়িয়ার ভার্সেটাইল এটায়ার লিমিটেড। এতে ১৪ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ মে চীনের সাংহাই বন্দর শুল্কমুক্ত পণ্য প্লাস্টিক হ্যাঙ্গারের একটি কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি কনটেইনারটি খালাস করার জন্য ৩ জুন একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট দিয়ে বিল অব এন্ট্রি তালিকাভুক্ত করে শুল্কায়ন কার্যক্রম শেষে পণ্যটি খালাসের চেষ্টা শুরু করে।
এরই মধ্যে গোপন সংবাদে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম পণ্য চালানটির ডেলিভারি কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশি করে।
এতে এআইআর কর্মকর্তাগণ অপসারণযোগ্য স্টিকারে ‘গাজীপুরের তুরাগ গার্মেন্টস অ্যান্ড হোশিয়ারি’ মুদ্রিত অবস্থায় ভেতরে দুইটি ইনার কার্টন দেখতে পায়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বন্দরের ভেতরে কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়।
কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চের (এআইআর) সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্দর নিরাপত্তা কর্মকর্তা, অন্য সংস্থার সদস্য ও প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এআইআর কর্মকর্তা দিয়ে পণ্য চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়।
‘পরীক্ষা সময় কাভার্ডভ্যান থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর দেখা যায়, ৩০০টি কার্টনের ভেতরে সিগারেটের দুইটি কার্টন পাওয়া যায়। এতে বিদেশি তিনটি ব্র্যান্ডের মধ্যে ২০ লাখ এসসি, ২০ লাখ মন্ড ও ২০ লাখ অরিস, মোট ৬০ লাখ শলাকা সিগারেট পাওয়া যায়, যার ওজন ৩ হাজার কেজি। আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে ৪ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলে, ‘শর্ত সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য পণ্য সিগারেট আমদানি করে আনুমানিক প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়।’
এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম।