বিশ্ববাজারে টানা তৃতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার বেড়েছে অপরিশোধিত ও জ্বালানি তেলের দাম।
চাহিদা বাড়ার প্রত্যাশার মধ্যেই ক্রমশ তেলের দাম বাড়তে শুরু করে গত মঙ্গলবার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র, চীন আর ইউরোপে চলতি বছরের শেষ দিকে তেলের চাহিদা ব্যাপক বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে সময়ে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতেই দাম বাড়াচ্ছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত ২০ মাসের সর্বোচ্চ দর দেখছে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্স।
ব্রেন্ট ক্রুডে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি শূন্য দশমিক সাত শতাংশ বা ৪৯ সেন্ট বেড়ে ৭১ দশমিক ৮৪ ডলারে পৌঁছেছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সবশেষ এত দাম দেখেছে ব্রেন্ট ক্রুড। বুধবারও দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
এ ছাড়া ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ দর দেখছে আরেক বেঞ্চমার্ক ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ফিউচার্স।
ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ বা ৪৪ সেন্ট বেড়ে ৬৯ দশমিক ২৭ ডলারে পৌঁছেছে।
অপরিশোধিত তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাজার পূর্বাভাস বলছে, ২০২১ সালের শেষার্ধে অর্থাৎ জুলাই থেকে জোগানের তুলনায় তেলের চাহিদা অনেক বেড়ে যেতে পারে। এ কারণেই জুনে দাম বাড়তে শুরু করেছে।
ওপেক প্লাসের তথ্য বলছে, চলতি বছরের শেষ দিকে তেলের চাহিদা দৈনিক ১০ কোটি ব্যারেলের কাছাকাছি হবে। সে তুলনায় জোগান থাকবে পৌনে ১০ কোটি। দৈনিক ঘাটতি থাকবে ২৩ লাখ ব্যারেলের মতো।
তেলের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে এ ভারসাম্যহীনতার জন্য মূলত দায়ী হবে তেল ব্যবহারে বিশ্বের শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ চীন। গ্রীষ্মে যান চলাচল বাড়বে বলে তেলের চাহিদা বাড়বে দেশ দুটিতে।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে করোনাকালীন লকডাউনের অবসানের ফলে সেখানেও বাড়বে এ চাহিদা।