বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার নতুন শেয়ারের দাম বৃদ্ধিতে লাগাম

  •    
  • ৬ মে, ২০২১ ২২:৫১

১০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার দর ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত যেসব কোম্পানির শেয়ার দর সেগুলো ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত যেসব কোম্পানির শেয়ার দর সেগুলো সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে বা কমতে পারবে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানি আর আগে থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির সরোর্চ্চ সীমা বা সার্কিট ব্রেকারে আর কোনো পার্থক্য থাকছে না।

এখন থেকে সব কোম্পানির শেয়ার দরই সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে এক দিনে।

দেড় বছর ধরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানির শেয়ার প্রথম দুই কার্যদিবসে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কমে বাড়তে পারত। তবে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার দর প্রথম দুই কার্যদিবসে এই পরিমাণ বাড়ার কারণে পরে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে।

এ কারণে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে কোনো নতুন কোম্পানির শেয়ার দর আর এত বেশি বাড়তে পারবে না। অন্য কোম্পানির ক্ষেত্রে যে সার্কিট ব্রেকার থাকে, নতুন কোম্পানির ক্ষেত্রেও সেই পরিমাণ সার্কিট ব্রেকারই থাকবে।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করেছে সংস্থাটি।

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল –ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, গত ১৪ নভেম্বর ২০১৯ সালে কোম্পানির শেয়ারে দরের ভিত্তিতে যে সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি এখন নতুন কোম্পানির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার দুদিন ৫০ শতাংশ করে শেয়ারের দর বৃদ্ধি পায়। তৃতীয় দিন তা স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকারে যুক্ত হয়।

এতে অনেক কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। এবং বিনিয়োগকারীরা শেয়ার দর বৃদ্ধিতে বিভ্রান্ত হয়ে বিনিয়োগ করেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তা সংশোধন করা হয়েছে। এখন থেকে নতুন কোম্পানি পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করার দিন থেকেই সার্বিক ব্রেকার অনুযায়ী শেয়ারের দর বাড়বে এবং কমবে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কার্যালয়

গত ১৪ নভেম্বর ২০১৯ সালের বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার দর ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত যেসব কোম্পানির শেয়ার দর সেগুলো ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত যেসব কোম্পানির শেয়ার দর সেগুলো সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে বা কমতে পারবে।

১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর সেগুলো ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত যেসব কোম্পানির শেয়ার দর সেগুলো ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ টাকার উপরে কোম্পানির শেয়ার দরের কোম্পানিগুলো দিনে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বাড়ার সুযোগ দেয়া হয়।

ওই আদেশেই নতুন কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রথম দুই কার্যদিবসে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ দাম বাড়ার সুযোগ দেয়া হয়।

কিন্তু সম্প্রতি তালিকাভুক্ত মীর আক্তার হোসেন কোম্পানির শেয়ারমূল্য প্রথম কার্যদিবসে ৫৪ টাকা থেকে বেয়ে হয়ে যায় ৮১ টাকা। পরের দিন তা উঠে যায় ১১৭ টাকায়। কিন্তু এরপর তা কমতে কমতে নামে ৫৬ টাকায়।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের দামও ৩১ টাকা দুই কার্যদিবসে ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। পরে এক পর্যায়ে তা ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু পরে নেমে আসে ৩৬ টাকায়।

তবে ৫০ শতাংশ দাম বাড়ার সীমা নির্ধারণের আগে আরও বেশি দাম বাড়ার ঘটনা ঘটেছে। কারণ, তখন এর আগে প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারের কোনো মূল্যসীমা থাকত না।

মূল্যসীমা না থাকায় প্রথম দিনে ১৬ গুণ অর্থাৎ ১৬০০ শতাংশ দাম বাড়ার ইতিহাসও আছে। ২০০৯ সালে ১০০ টাকায় তালিকাভুক্ত রূপালী লাইফের দাম প্রথম দিনই এক হাজার ৬০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। পরে অভিহিতমূল্য ১০ টাকা করা হয়। এখন শেয়ারের দর ৬০ টাকার ঘরে।

২০১৭ সালে ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত বিবিএস ক্যাবলের দামও প্রথম দিন ৭০ টাকার বেশি ছাড়িয়ে যায়। পরে তা ১০০ টাকার ঘরও পেরিয়ে যায়। এখন সেটির দাম ৫৪ টাকা।

নানা সময় দেখা যায়, নতুন শেয়ারে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে কারসারি করা হয়। বিনিয়োগতারীরা শেয়ারের মৌলভিত্তি বিবেচনা না করে আরও বাড়বে ভেবে কিনে ফেলেন। আর এ কারণে পরে ক্ষতির মুখে পড়েন।

এ কারণে প্রথম দিন অফুরন্ত দাম বৃদ্ধির সুযোগ বাতিল করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর