বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বগুড়ায় মরিচের কেজি ১০ টাকা

  •    
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ২০:৫৯

সারা বছর সবজির দাম কম ছিল। কিন্তু রোজার কারণে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। বাড়েনি কাঁচা মরিচের দাম, বরং কমছে। ৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে মরিচ।

উত্তরাঞ্চলে সবজির সবচেয়ে বড় বাজার বগুড়ার মহাস্থানগড় হাট। সেখানে কাঁচা মরিচ চার শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। যদিও ১২ কিলোমিটার দূরে বগুড়া শহরে মরিচের দাম কেজিতে ১৫ টাকা। রোজার মাসে প্রায় সব সবজির দাম বাড়লেও কাঁচা মরিচের দাম একদম কম। আর তাই বিপাকে মরিচ চাষীরা।

তবে কৃষি অধিদপ্তর বলছে, মরিচ চাষের সময় শেষের দিকে, এ কারণে দাম কম। তবে কিছুদিন আগে কৃষকরা মরিচের ভালো দাম পেয়েছেন।

কৃষি বিভাগের হিসাবে, বগুড়ায় এবার ১২ হাজার ৮১৩ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২৯ হেক্টর বেশি জমিতে উৎপাদন হয়েছে। এর ফলে সারা বছরই সবজির দাম কম ছিল। কিন্তু রোজার কারণে আবার সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। জেলায় মরিচ চাষ করা হয়েছে সাত হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে। যদিও গত দুই বছরের চেয়ে এই চাষের পরিমাণ কম।

বগুড়ার গাবতলীর কাগইল গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এবার মরিচের ফলন তেমন ভালো হয়নি, বীজের সমস্যা ছিল। প্রথমদিকে মরিচের দাম ভালো থাকলেও এখন অবস্থা খুব খারাপ। পরিবহন খরচ তোলাই সম্ভব হচ্ছে না।’

শনিবার সকালে মহাস্থানগড় হাটে কথা হয় শিবগঞ্জের দেউলী গ্রামের বাসিন্দা শফিকুলের সঙ্গে। তিনি এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘সবজির মতোই মরিচ ক্ষেতে রাখা যায় না। রোজার মধ্যে মরিচের এত কম দাম হবে কখনও কল্পনা করিনি। প্রতিমণ মরিচ বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ টাকা করে।’

মহাস্থানগড় হাট ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে ভালো কাঁচা মরিচ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায় । গত সপ্তাহেও কাঁচা মরিচের দাম একই ছিল। তবে সবজির ক্ষেত্রে কিছুটা দাম বেড়েছে। আগের সপ্তাহে পটল বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা কেজি দরে। শনিবার তা বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকা কেজি দরে। একই সময়ের ব্যবধানে করলা ২০ টাকা থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৩০ টাকা কেজির বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে।

মহাস্থানগড় হাটের পাইকারী ব্যবসায়ী মো. মোস্তফা বলেন, ‘রোজার কারণে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম গত ১০ দিন ধরে একই রয়েছে। আমদানিও অনেক বেশি হয়।’

শিবগঞ্জ উপজেলা কাঁচামাল আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. বাবুল মিয়া বাবু বলেন, ‘বাজারে চারদিক থেকেই যেন কাঁচা মরিচ আসছে। অথচ করোনার কারণে কেনার মানুষ নেই। এই কারণে কৃষকরা ১০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।’

বগুড়া শহরে রাজাবাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘দেশি কাঁচা মরিচ ৮/৯ টাকা প্রতি কেজি কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২-১৫ টাকা কেজি দরে। লাভ অনেকটাই সীমিত।’

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. দুলাল হোসেন বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় এখন কাঁচা মরিচের জোগান বেশি। আর মৌসুমের শেষ সময় হওয়ায় মরিচের দাম কম। তবে ভরা মৌসুমে কৃষকরা কাঁচা মরিচের ভালো দাম পেয়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর