বিশ্বের প্রধান পণ্য উৎপাদক দেশগুলোর মধ্যে নৈতিক নিরীক্ষণ (ইথিক্যাল অডিটিং) অনুশীলনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
হংকং-ভিত্তিক সাপ্লাই চেইন কমপ্লায়েন্স সলিউশন প্রোভাইডার- কোয়ালিটি কন্ট্রোল অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন অডিটের (কিউআইএমএ) মূল্যায়নে ২০২০ সালে বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে চীন, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোকে।
কিউআইএমএ-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে নৈতিক নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে আছে তাইওয়ান। পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সরবরাহ চেইনে স্থানীয় সরবরাহকারীদের ভালো অভ্যাসের মূল্যায়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বড় উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
কিউআইএমএ-এর মূল্যায়নে ৮ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান দখল করেছে তাইওয়ান। ৭ দশমিক ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশ। এরপর ৭ দশমিক ৬ পয়েন্ট পেয়ে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে আছে ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড।
এরপর আছে পাকিস্তান (৭ দশমিক ৫ পয়েন্ট), তুরস্ক (৭ দশমিক ৪), চীন (৭ দশমিক ৩), ভারত (৬ দশমিক ৮) এবং ব্রাজিল (৬ দশমিক ৮)।
কিউআইএমএ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, স্বাস্থ্যবিধি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিশুশ্রম, কাজের সময়, সুবিধা এবং শ্রমের অনুশীলন বিবেচনায় নিয়েছে। এছাড়া, কাজের সময় ও মজুরির বিষয়টিও মূল্যায়ন করা হয়েছে।
‘টু থাউজেন্ড টোয়েন্টে ইন রিভিউ: গ্লোবাল ট্রেড কোভিড ডিজরাপশন রিভিলস চেইঞ্জেস ইন কনজাম্পশন হ্যাবিট অ্যান্ড র্যামপ্যান্ট ইথিক্যাল রিস্ক, অ্যাজ চায়না সোর্সিং বিটস দ্য ওডস’ শিরোনামের এই প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারি বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনে মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে পরিদর্শন করা ১৪ শতাংশ কারখানায় কাজের সময় এবং বেতনের গুরুতর লঙ্ঘন ঘটায় দেশটি তালিকায় নিচের দিকে নেমে এসেছে। দেশটিতে অবৈতনিক ওভারটাইম হিসাবে স্যানিটেশন শুল্ক আরোপ এবং ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামের (পিপিই) মতো বেশি চাহিদাসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের জন্য কর্মীদের অতিরিক্ত সময় কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ক্রমবর্ধমান নৈতিক ঝুঁকি কমাতে কারখানাগুলোতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎপাদন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, মান নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রযুক্তিগত সমাধান গ্রহণের ক্ষেত্রে দূরবর্তী নিরীক্ষণ, কর্মী ভয়েস সমাধান এবং সংহত কিউসি এবং কমপ্লায়েন্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে জোরদার করার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।