নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত না কিনতে দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, এসব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে দেশে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসী এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত পর্যাপ্ত; স্বাভাবিক ক্রয়ে আস্থা রাখুন।’
শনিবার লকডাউনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর কাঁচাবাজার ও সুপারশপগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার হিড়িক পড়ে।
ওইদিন দুপুর থেকেই সুপারশপগুলোতে ভিড় করেন আতঙ্কিত মানুষ। অনেকেই আসেন বিশাল ফর্দ নিয়ে। কার আগে কে কিনবেন তা নিয়েও ছিল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা শেষে বিল দেয়ার জন্য কাউন্টারগুলোতেও দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ক্রেতাদের।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, গুলশানের কয়েকটি সুপারশপ ঘুরে দেখা যায় চাল, ডাল, চিনি, তেল, ডিম, মাছ, মাংসসহ নিত্যপণ্যের দিকেই ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি।
এসব পণ্য ক্রেতারা সংগ্রহ করছেন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অনেকেই এড়িয়ে যান। কেউ কেউ আবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।
৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাস্তবায়নে সোমবার ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৬ নম্বরে বলা হয়েছে, ‘কাঁচাবাজার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা পরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সাধারণ মানুষের প্রতি এই আহ্বান জানানো হলো। যেখানে পরিস্কার বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যথেষ্ট মজুত আছে। তাই আতঙ্কিত হয়ে যেন ক্রেতারা অতিরিক্ত কেনাকাটা না করেন।
অতীতে নানা সময় দেখা গেছে, লকডাউনের মতো জরুরি পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই অতিরিক্ত কেনাকাটা করে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়।