বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাণিজ্য মেলার স্থায়ী ঠিকানা হলো পূর্বাচল

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:৫০

ঢাকার পূর্বাচলে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হয় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৩০৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীন সরকারের অনুদান ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এটি নির্মাণ করেছে চীনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।

দেশের পণ্য প্রদর্শনী ও বাণিজ্য মেলার স্থায়ী ঠিকানা হলো পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার।

সেই প্রদর্শনী কেন্দ্রটি রোববার সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে চীন।

ঢাকার পূর্বাচলে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হয় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৩০৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীন সরকারের অনুদান ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

এটি নির্মাণ করেছে চীনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।

সকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এই প্রদর্শনী কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কাছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্য প্রসারে পণ্য প্রদর্শনী সারা বিশ্বে একটি কৌশল হিসেবে দেখা হয়। তাই বিশ্বের বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ তার সম্ভাবনা যাচাই করে।

‘প্রতি বছর ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে থাকে। কিন্তু স্থায়ী কোনো জায়গা না থাকায় বছর ধরে পণ্য প্রদর্শন করা সম্ভব হচ্ছিল না।’

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও চীন সরকারের অনুদানে পূর্বাচলে একটি স্থায়ী ঠিকানা হলো জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে এই কেন্দ্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন সরকারের ভূমিকায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘আমি আশা করি আগামীতেও এমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং দুই দেশের বাণিজ্য খাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করব।’

তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ হবে, যেটি ২০২৬ পর্যন্ত বাড়তে পারে। রপ্তানিতে প্রাধিকারমূলক সুবিধাবঞ্চিত হব, যার ফলে রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা এবং মার্কেট শেয়ার ধরে রাখার ক্ষেত্রে এটি বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে রপ্তানি বাড়াতে পণ্য উৎপাদন এবং বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিচ্ছি আমরা। আর এই প্রদর্শনী কেন্দ্রটি সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

‘আমরা আশা করি, বাণিজ্য খাতকে শক্তিশালী করতে ভবিষ্যতেও কারিগরি সহযোগিতা ও সক্ষমতা বাড়াতে চীন সরকার বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে নির্ধারিত সময়ের আগে এই প্রদর্শনী কেন্দ্রের কাজ শেষ হওয়ায় ধন্যবাদ জানান বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন।

চীনের আর্থিক অনুদান ও কারিগরি সহায়তায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মালিকানায় পূর্বাচলে ২০ একর জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি।

আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে টানতে তৈরি এই কেন্দ্রটির নাম বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার করার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে সরকার। এতে সম্মতি দিয়েছে চীন।

এটির নির্মাণ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবরে। আর শেষ হয় গেল বছরের নভেম্বরে।

এটি নির্মাণের কারণ ব্যাখ্যায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, বাণিজ্য সম্প্রসারণে দেশি-বিদেশি পণ্য উৎপাদনকারী ও ক্রেতাদের বাংলাদেশে আর্ন্তজাতিক মানের একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত ও সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরি করা।

ব্যুরো আরও বলেছে, প্রতিযোগিতার সুযোগ তৈরি করে পণ্যের গুণগত মান বাড়ানো, বৈচিত্র্য আনা, দেশি-বিদেশি প্রতিযোগী উৎপাদকদের পণ্যের মান ও মূল্য সম্পর্কে সরাসরি তুলনা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া, একই প্ল্যাটফর্মে সারা বছর পণ্যভিত্তিক মেলা ও সাধারণ বাণিজ্য মেলাসহ শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক বিভিন্ন প্রকার অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ সৃষ্টি করাও এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের লক্ষ্য।

যা রয়েছে এক্সিবিশন সেন্টারে

এক্সিবিশন সেন্টারের মোট ফ্লোরের আয়তন ৩৩ হাজার বর্গমিটার। ভবনের ফ্লোরের আয়তন ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার। এক্সিবিশন হলের আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার।

এক্সিবিশন হলে ৮০০টি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথের আয়তন ৯ দশমিক ৬৭ বর্গমিটার।

দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ের মোট পার্কিং স্পেস ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার যেখানে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে। আর এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনের খোলা জায়গায় আরও ১ হাজার গাড়ি পার্কিং করার সুযোগ আছে।

এতে রয়েছে ৪৭৩ আসনের একটি মাল্টি ফাংশনাল হল, ৫০ আসনের একটি কনফারেন্স রুম, ছয়টি নেগোসিয়েশন/মিটিং রুম, ৫০০ আসনের ক্যাফেটরিয়া/রেস্টুরেন্ট, শিশুদের খেলার স্পেস, নামাজের কক্ষ, অফিস রুম দুইটি, মেডিকেল রুম, ডরমিটরি-গেস্ট রুম, ১৩৯টি টয়লেট, বিল্ট ইন পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম।

এ ছাড়াও রয়েছে নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, স্টোর রুম, সিএটিভি কন্ট্রোল রুম, অটোমেটেড সেন্ট্রাল এসি সিস্টেম, ইনবিল্ট ইন্টারনেট/ওয়াইফাই, আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, আলাদা রেজিস্ট্রেশন হল, আধুনিক ফোয়ারা, ইন বিল্ট পতাকা স্ট্যান্ড, রিমোট কন্ট্রোলড-ইলেকট্রনিক প্রবেশ গেইট।

এ বিভাগের আরো খবর