বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কত জাতের খেজুর বাজারে?

  •    
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ১১:৪৩

বাজারে ২২-২৩ ধরনের খেজুর পাওয়া যায়। সৌদি আরব ছাড়াও মিশর, জর্ডান, তিউনিশিয়া এমনকি ভারত-পাকিস্তান থেকেও আসে এসব খেজুর। একেকটার বৈশিষ্ট্য একেক রকম।

বাজারে যেসব খেজুর পাওয়া যায়, তার সবই সৌদি আরব থেকে আসে না। খেজুর আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৌদি আরব ছাড়াও জর্ডান, মিশর, দুবাই, আলেজেরিয়া, তিউনিশিয়া, লেবানন, পাকিস্তান ও ভারতসহ অনেক দেশ থেকে খেজুর বাংলাদেশে আসে।

ঢাকার বাদামতলীতে ফলের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। সেখানকার বিক্রেতারা বলছেন, বিশ্ববাজারে প্রায় ১০০ জাতের খেজুর আছে। যার মধ্যে ২২-২৩ জাতের খেজুর ঢাকার বাজারে পাওয়া যায়।

প্রত্যেক জাতের খেজুরের স্বাদ আলাদা। জাত ও আকারের ওপর নির্ভর করে দাম। মেডজুল, আজোয়া ও মরিয়ম – এগুলো দামি জাতের খেজুর। এগুলো পাইকারি বাজারে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা করে কেজি। এই দামের সঙ্গে খুচরা পর্যায়ে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বা আরও বেশি যোগ হয়।

কিন্তু কোনটা কোন জাতের, দেখে চিনবেন কীভাবে?

জানতে চাওয়া হয় বাদামতলী বাজারে ২৮ বছর ধরে খেজুরের পাইকারি বিক্রেতা হাজী মো. আমির হোসেনের কাছে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা কেনাবেচা করে অভ্যস্ত, তাই খেজুর দেখলেই চিনতে পারি। ক্রেতারা এত সহজে চিনতে পারবে না।

‘কালো রং ও গোলাকৃতির এক ধরনের খেজুর আছে, নাম আজোয়া। এগুলো সৌদি আরব থেকে আসে। দাম অনেক বেশি। তবে এখন দাম একটু কম। পাইকারি বাজারে এক কেজি ৬০০ টাকা।’

বাজার ঘুরে দেখা গেল, আজোয়া নয়, সবচেয়ে বেশি যে খেজুর, সেটির নাম মেডজুল। এ খেজুর একটু লম্বাটে। মিশর ও জর্ডান থেকে এই খেজুরগুলো আসে। গায়ে মাংস অনেক বেশি, আঁটি ছোট।

আমির হোসেন বলেন, ‘জর্ডানের মেডজুল খেজুর সবচেয়ে ভালো। তবে মিশর ও জর্ডানের মেডজুল আলাদা করা কঠিন। আমরা প্যাকেটের গায়ে লেখা দেখে জানি, কোনটা কোন দেশের।’

খেজুর আমদানিকারক হাজী মো. আফসার বলেন, মরিয়ম খেজুর একটু লম্বাটে। একটু শুকনো ধরনের। এগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি। মরিয়ম ও মেডজুল দেখতে প্রায় একই রকম। কিন্তু মরিয়ম মেডজুলের মতো হৃষ্টপুষ্ট নয়।

পাইকারি বিক্রেতারা জানান, ভারত থেকে এক প্রকার কাঁচা খেজুর আসে। বছরে এক-দেড় মাস পাওয়া যায়। প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে গুজরাট। এগুলো খেতে ততটা সুস্বাদু নয়। হালকা কষ।

ফলের আড়ৎদার হাজী তারেক আহমেদ বলেন, মিশর ও সৌদি থেকে আসা কাঁচা খেজুর খেতে আপেলের মতো লাগে।

বাদামতলীর খেজুরের গলির মেসার্স সাথী এন্টারপ্রাইজে ১০-১২ বছর ধরে কাজ করেন মো. শাহজামাল রতন। তিনি জানান, তাদের কাছে ২২-২৩ ধরনের খেজুর রয়েছে। তবে বেশি আছে আলজেরিয়া ও তিউনিশিয়ার খেজুর।

তিনি বলেন, ইরান ও সৌদি থেকে আসে মরিয়ম খেজুর। এগুলো খেতে অনেক স্বাদ। বাজারে মরিয়ম খেজুরের মতো দেখতে একরকম খেজুর আছে, সাফাভি। এগুলো কালমি নামে বিক্রি হয়। তাছাড়া আলজেরিয়া থেকে আসে ফরিদা খেজুর। এগুলো একটু হলুদাভ। দাম তুলনামূলক অনেক কম। খুচরা পর্যায়ে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।

মো. শাহজামাল রতন জানান, দাবাস নামে ছোট এক ধরনের খেজুর আছে। এগুলো কিছুটা বরই খেজুরের মতো দেখতে। কিন্তু বরই খেজুর গোল। দাবাস কিছুটা লম্বাটে।

কামরাঙ্গা মরিয়ম নামে আরেক ধরনের খেজুর দেখতে মরিয়ম খেজুরের মতো লম্বাটে, আবার কিছুটা কামরাঙ্গার মতো কোনাকৃতির। এসব খেজুরের প্রকৃত নাম মবরুম।

ফলের আড়ৎদার তারেক আহমেদ আরও বলেন, ইরাক থেকে বস্তায় ভরা জায়েদি খেজুর আসে। এটা পাইকারি বাজারে ৬০-৬২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এই খেজুর বেশি চলছে।

খেজুরের পাইকারি বিক্রেতা মোহাম্মদ হেলাল জানান, জায়েদি খেজুরের আঁটি একটু বড় হয়। অন্যান্য খেজুরগুলোর আঁটি ছোট হয়।

শুকনা খেজুর এদেশে খুরমা নামে পরিচিত। এগুলো মূলত পাকিস্তান থেকে আসে। আড়ৎদার আমির হোসেন জানান, হালকা লাল রঙের খুরমা সবচেয়ে ভালো। এগুলো একটু কষ, কিন্তু আসল ‍খুরমা। সাদা খুরমাগুলো রাসায়নিক উপাদান দিয়ে রং ফর্সা করা হয়।

খুলনার শাজাহান ফলঘরের বিক্রেতা আরিফ হোসেন আসেন বাদামতলী থেকে খেজুর কিনতে। তিনি ২০ বছর ধরে ফলের ব্যবসা করেন। তিনি জানান, তিউনিশিয়ার খেজুর খুলনায় বেশি চলে। এগুলো ছরাসহ আবার ছরা ছাড়া পাওয়া যায়। কোনোটা শুকনো, কোনোটা ভেজা।

এ বিভাগের আরো খবর