প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্’র অনন্য সৃষ্টি ‘সুড়ঙ্গ’। বাংলাসাহিত্যের সেই অনবদ্য গল্পটি মঞ্চ নাটকে আনছে ঢাকার অন্যতম নাট্যদল এথিক। এটি তাদের চতুর্দশ প্রযোজনা হতে যাচ্ছে। আগামী ২৩ মে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন করা হবে।
এথিক নাট্যদল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি জানিয়েছে। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন মিন্টু সরদার। সহযোগী নির্দেশক মনি কানচন। আর নাটকটির প্রযোজনা অধিকর্তা হিসেবে রয়েছেন নাট্যকার-পরিচালক ও সাংবাদিক রেজানুর রহমান। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আফনান অপ্সরা, প্রদীপ কুমার, মনি কানচন, সুকর্ন হাসান, আজিম উদ্দিন, রেজিনা রুনি, নাহিদ মুন্না, উর্মি আহমেদ, দীপান্বিতা রায়, রুবেল খানসহ আরো অনেকে। মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন সাইফুল ইসলাম, আলোক পরিকল্পক ঠান্ডু রায়হান, আবহ সংগীত করেছেন শিশির রহমান, পোষাক ও রূপসজ্জায় শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, কোরিওগ্রাফী করেছেন এম আর ওয়াসেক এবং নাটকের প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে- ধন-সম্পদের প্রতি মানুষের লোভ চিরকাল। অন্যের সম্পদ নিজের করে নেয়ার প্রবৃত্তি আদীকাল থেকে চলমান। হোক তা বৈধ কি অবৈধ উপায়ে। হোক সে দূরের অথবা কাছেরজন। প্রয়োজনে সুড়ঙ্গ খুড়ে সম্পদ ছিনিয়ে নিতেও দ্বিধা করে না মানুষ। কিন্তু সম্পদ কি সবাইকে সব সময় ধরা দেয়? গুপ্তধন কি জোটে সবার ভাগ্যে? এমনই বিষয় ফুটে উঠেছে নাটকে এক ষোড়শী কন্যার কৌতুহলী ভাবনার জগতের ভিতর দিয়ে। নাটকের কাহিনী আবর্তিত রাবেয়াকে ঘিরে। দু’দিন পর তার বিয়ে অথচ সে বিছানায় শয্যা নিয়েছে। ডাক্তার হেকিম সব হদ্দ হয়ে গেল কিন্ত কেউ তার অসুখ ধরতে পারে না। মাতৃহারা মেয়ের দুশ্চিন্তায় বাবা রেজ্জাক সরদার অতিশয় উদ্বিগ্ন। মুশকিল আসান হয়ে অবশেষে এলো এক ফকির বাবা যাকে দেখে রাবেয়া অবাক। কিন্তু রহস্য না ভাঙতে রাবেয়া তৎপর। যে রহস্যের রোমাঞ্চে নিজের বিয়ের আয়োজন উপেক্ষা করে অসুস্থতার ভান ধরে ঘরে পড়ে আছে আর দুদিন ধরে শুয়ে শুয়ে শুনছে সুড়ঙ্গ খোড়ার শব্দ। মাটির নিচের অন্ধকারের রহস্য ভেদ করে ধীরে ধীরে তার ঘরে এগিয়ে আসছে এক রহস্যমানব। রোমাঞ্চ আর উত্তেজনায় অবশেষে সকলেই মুখোমুখি হয় এক কঠিন সত্যের।