বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘জয় বাংলা’ আমার প্রথম অগ্নিপরীক্ষা: জাহারা মিতু

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:১৬

‘‘আমার অনেক সৌভাগ্য বলব। কারণ কিংবদন্তি নির্মাতা কাজী হায়াতের ‘জয় বাংলা’ সিনেমা দিয়ে পর্দায় অভিষেক হচ্ছে। যদিও এটি আমার সাইন করা চতুর্থ সিনেমা, কিন্তু বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে আমাদের জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ শব্দের মধ্য দিয়ে। সেই সঙ্গে আমি বোনাস হিসেবে পাচ্ছি এত বড় একজন লেখক।’’

তিন বছর আগের কথা। ২০১৯ সালে ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে আগুন নামের সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় নাম লেখান জাহারা মিতু।

সে সময় থেকে বেশির ভাগ অংশের শুটিং হলেও নানা কারণে পিছিয়ে যায় সিনেমাটির কাজ। এরই মাঝে আরও কয়েকটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন মিতু, তবে সব সিনেমাই রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খ্যাতিমান নির্মাতা কাজী হায়াতের জয় বাংলা সিনেমা দিয়ে চিত্রনায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে মিতুর। ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক মুনতাসীর মামুনের উপন্যাস ‘জয় বাংলা’ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার।

এ নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপচারিতায় জাহারা মিতু প্রকাশ করলেন নানা অনুভূতি।

একটি ঐতিহাসিক গল্পের সিনেমা একই সঙ্গে বিজয় দিবসে পর্দায় অভিষেক হচ্ছে। অনুভূতি কী?

আমার অনেক সৌভাগ্য বলব। কারণ কিংবদন্তি নির্মাতা কাজী হায়াতের জয় বাংলা সিনেমা দিয়ে পর্দায় অভিষেক হচ্ছে। যদিও এটি আমার সাইন করা চতুর্থ সিনেমা, কিন্তু বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে আমাদের জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ শব্দের মধ্য দিয়ে। সেই সঙ্গে আমি বোনাস হিসেবে পাচ্ছি এত বড় একজন লেখক। মুনতাসীর মামুন স্যারের উপন্যাস ‘জয় বাংলা’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত। সব কিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় আমি সোনায় সোহাগা।

নবাগত চিত্রনায়িকা জাহারা মিতু। ছবি: সংগৃহীত

সিনেমাটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?

আমার তো সব কমার্শিয়াল সিনেমা। শুধু একটি মাত্র অফ ট্র্যাক, যেটি আমি করেছি। শুধু একটি উপন্যাসের অংশ হিসেবে থাকতে চাই। কালজয়ী একটি সিনেমার অংশ হিসেবে থাকতে চাই- এই উদ্দেশ্য নিয়েই সিনেমাটি আমার করা। অফ ট্র্যাক সিনেমার ক্ষেত্রে যেটা হয়, এটার দর্শক কিন্তু লিমিটেড থাকে।

আমি জানি যে কমার্শিয়াল সিনেমার যে দর্শক থাকে তার থেকে একটু ভিন্ন ধারার দর্শক এ ধরনের সিনেমাগুলো দেখেন। সে ক্ষেত্রে আমি বলব, আমার মনে হয় আমাদের টার্গেট অডিয়েন্স যারা, তারা আসলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের যে প্রারম্ভিককাল, সেই সময়টা নিয়ে যারা চিন্তাভাবনা করতে চায় বা যারা এই সময়টা নিয়ে ভাবে বা এই সময়টা যাদের ভাবায়, আমি আশা করব সে ধরনের দর্শকই গিয়ে সিনেমাটা দেখবে।

আর আমি অভিনেত্রী হিসেবে বলল, আমার প্রথম অগ্নিপরীক্ষা বলা যায়, যেহেতু প্রথম সিনেমা আসছে এবং তথাকথিত কোনো গ্ল্যামার নায়িকা হিসেবে কিন্তু আমি উপস্থিত হচ্ছি না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা আমাকে দেখেন, আমার যেসব দর্শক তৈরি হয়েছে, তারা সব সময় আমাকে দেখেন গ্ল্যামার্স লুকে। এই প্রথম তারা আমাকে নন-গ্ল্যামার এবং একজন অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে পাবেন। সেই ক্ষেত্রে আমি বলব, গ্ল্যামার ইমেজ ফেলে দিয়ে যারা শুধু একজন অভিনেত্রীকে খুঁজতে যাবেন, যারা দোলা চরিত্রটিকে খুঁজতে যাবেন, ১৯৬৮ থেকে একাত্তরের একটি কিশোরী মেয়েকে যারা দেখতে যাবেন, তাদের জন্য এই জয় বাংলা সিনেমা।

নবাগত চিত্রনায়িকা জাহারা মিতু। ছবি: সংগৃহীত

সিনেমার ট্রেলার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকের নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আপনাকে নিয়ে হয়তো তাদের প্রত্যাশা আরেকটু বেশি ছিল। এ নিয়ে কিছু বলবেন?

দেখুন আমি তো একজন শিল্পী। আমি হচ্ছি কাদামাটি এবং আমি সব সময় বলি, আমি পরিচালক বেইজ একজন শিল্পী। আমার পরিচালক আমাকে যেভাবে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করতে চান, আমি সেভাবেই রাজি থাকি; সেভাবেই কাজ করতে চাই। যখন আপনার পরিচালক কিংবদন্তি কাজী হায়াৎ, সেখানে আমার মনে হয়, আমি তাকে কোনো ধরনের কথা বলা বা তার কাজ নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন রাখা, এটা আসলে আমার জন্য বেয়াদবির সমতুল্য। সেই এখতিয়ারও আমার নেই।

আমি সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করেছি আমার পরিচালককে। তিনি বলেছেন, ‘আমি চাই না তুমি কোনো মেকআপ নাও।’ আমি সেটাই ফলো করেছি। তিনি যে ধরনের কস্টিউমে চেয়েছেন, সেভাবেই আমি করেছি, আমি কিন্তু কোনো সাজেশনও দিইনি। আমি কিন্তু সম্পূর্ণরূপে ভরসা করেছি আমার পরিচালকের ওপর। আমার পরিচালক যেভাবে দোলা চরিত্রটাকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন, আমি সেটাই করেছি।

আর ট্রেলার দেখে আমি বলব, পুরো সিনেমা ট্রেলার থেকে অনেক অনেক ভালো। যদি আমি একজন দর্শকের জায়গা থেকে বলতে যাই, আমি নিজেও কিন্তু সন্তুষ্ট নই ট্রেলার দেখে। এটি আমি কিন্তু আমার প্রোডাকশন হাউসকেও বলেছি। যেহেতু অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র, এখানে বাজেটে স্বল্পতা ছিল। বাজেটের কারণে আমরা আসলে সবাই কোথাও না কোথাও হেরে গিয়েছিলাম।

‘টুঙ্গিপাড়া চলচ্চিত্র’ ব্যানারের এটি প্রথম চলচ্চিত্র। তাদের প্ল্যানেও কিছু ভুল ছিল। আমরা যখন পুরো টিম নিয়ে বসেছিলাম, তখন আমরা কিন্তু এটা স্বীকার করেছি। শত সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমরা একটা চেয়েছি ভালো কাজ করার, আমরা একটা দলিল তৈরির জন্য।

যখন মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না, অনেক পরে এটা একটা ইতিহাস হবে। আমি বলব ট্রেলারের ওপর ভরসা করে সিনেমা দেখব না- এমন সব সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে দেশপ্রেমের প্রতি যে দায়িত্ববোধ আছে, সেটার জন্য হলেও যেন মানুষ হলে গিয়ে জয় বাংলা দেখে।

নবাগত চিত্রনায়িকা জাহারা মিতু। ছবি: সংগৃহীত

আগামী দিনে ব্যস্ততা কোন কোন কাজ নিয়ে?

আশা করছি আগামী বছর আমার চারটি সিনেমা আসছে। গতকাল আগুন ছবির ডাবিং শেষ করলাম। আগুনের দুটি গানের শুটিং বাকি আছে আমার। এটা শেষ করেই সামনের মাসের ফার্স্ট উইকের দিকে আমি নতুন একটা সিনেমার কাজ করতে যাচ্ছি। সেটা হচ্ছে নারীনির্ভর একটা গল্প। সেটার নাম আমরা এখনই বলছি না। সেটা হয়তো ধামাকা আকারেই আমরা প্রচার করব। এই কারণে এখন নাম বলছি না।

এ বিভাগের আরো খবর