বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উত্তরায় এক মঞ্চে নানা সংগঠনের বর্ষবরণ

  •    
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:১৮

বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন সকাল ৬টায় উত্তরার রবীন্দ্র সরণির বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে হয় বর্ষবরণ। এতে গান, কবিতা, আবৃত্তি পরিবেশন করেন বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা।

রাজধানীর উত্তরায় প্রথমবারের মতো এক মঞ্চে বর্ষবরণ করেছে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এ অঞ্চলটিতে প্রতি বছর সংগঠনগুলো আলাদাভাবে বর্ষবরণ করে।

বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন সকাল ৬টায় রবীন্দ্র সরণির বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে হয় বর্ষবরণ। এতে গান, কবিতা, আবৃত্তি পরিবেশন করেন সংগঠনগুলোর শিল্পীরা। আয়োজন শেষ হয় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে।

পরে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ উত্তরার আহ্বায়ক ও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী।

সকাল ৯টায় বের হয় পহেলা বৈশাখের অন্যতম আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। এটি উত্তরার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এবারের শোভাযাত্রার স্লোগান ছিল ‘নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’। সীমিত পরিসরের বর্ষবরণের এ আয়োজনে বিভিন্নজনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেছে।

বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ উত্তরার আহ্বায়ক অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী বলেন, ‘সকালের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, বাঙালির যে সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার আছে, যে ঐতিহ্য আছে, সেই উত্তরাধিকার ও ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে আমরা মানুষ এবং আমরা বাঙালি—এই অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের উৎসব আমরা পালন করছি।

‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করছি। ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই এই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত আকারে করেছি। মঙ্গল শোভাযাত্রাও সংক্ষিপ্ত পরিসরে করা হয়েছে।’

বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ উত্তরার সদস্য সচিব সোহেল আনোয়ার বলেন, ‘প্রতি বছর উত্তরার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো যে যার মতো করে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করে, তবে এবার আমরা সব সংগঠন এক প্ল্যাটফর্মে বৈশাখের আয়োজন করেছি।

‘আমরা এই উৎসবের সঙ্গে সঙ্গে আশাবাদ ব্যক্ত করছি, ষড়ঋতুর ছয়টি প্রোগ্রাম আমরা ধারাবাহিকভাবে করব। উত্তরার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সব স্তরের সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহণে প্রতিটি ঋতুর উৎসব বর্ণিল হবে।’

প্রায় দুই বছর পর দেশের মাটিতে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রবাসী আইরিন সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে দেশের বাইরে ঘরের ভেতর আটকা ছিলাম। দুই বছর পহেলা বৈশাখ কোনোভাবেই উদযাপন করা হয়নি।

‘এবার পহেলা বৈশাখ যেন পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে উদযাপন করতে পারি, সে জন্য দেশে এসেছি। সবার সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পারছি। তাই আনন্দ লাগছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রমনার বটমূলে ছায়ানট ছাড়া এ রকম অনুষ্ঠান খুব কম দেখা যায়। দেখে খুবই ভালো লাগছে যে উত্তরায় এমন একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে। আশা করছি প্রতি বছরই উত্তরায় এই অনুষ্ঠান হবে।’

অনুষ্ঠানে আসা এক তরুণী বলেন, ‘গত দুই বছর করোনার কারণে আমাদের খুব খারাপ সময় কেটেছে। এখন যেহেতু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আর রমজান মাস, আশা করিনি এত সুন্দর অনুষ্ঠান পাব।

‘নববর্ষে প্রত্যাশা একটাই, করোনা যেন পুরোপুরি কেটে যায়। দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে; সবকিছু যেন একদম ধুয়েমুছে চলে যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর