চিত্রনায়ক ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান তার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগে।
ইউটিউব চ্যানেল এবং ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন জায়েদ। তদন্তে পুলিশ তার সত্যতা পেয়েছে এবং অভিযুক্তদের বুধবার ডিবি হেফাজতে নিয়ে আসা হয়।
বুধবার বিকালে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান জায়েদ খান। তিনি জানান, দিন ১৫ আগে এ অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
নিউজবাংলাকে জায়েদ বলেন, ‘বেশকিছুদিন ধরেই আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল। আমি নাকি খারাপ প্রস্তাব দিয়েছি। এখন বলেন, যদি কাউকে খারাপ প্রস্তাব দেই তাহলে তো তার প্রমাণ থাকতে হবে। শুধু মুখে বলে দিলেই কি হলো। আবার যারা সদস্যপদ নিয়ে কথা বলছেন, তাদের সদস্যপদ তো আমি বাতিল করিনি, এটা করেছে কমিটি। আমার নামে মিথ্যা প্রচার সব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) স্পেশাল ক্রাইম ও সাইবার ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জায়েদ খান একটি জিডি করেছিলেন। সেটির বিষয়ে আমরা কাজ করছি। ইউটিউবে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানহানিকর গুজব ও তথ্য দিয়ে ভিডিও বানিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।’
সেগুলোর কয়েকটি শনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এসব ইউটিউব চ্যানেলের এডমিনদের এক এক করে ডাকা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হচ্ছে, ভবিষ্যতে যাতে আর কারও বিরুদ্ধে এমন আপত্তিকর প্রচারণা না করে সে বিষয়েও তাদের সতর্ক করা হয়েছে।’
তাদের এসব ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপত্তিকর কনটেন্ট ডিলিট করতে নির্দেশ দিয়েছে ডিবি।
জায়েদ জানান, অভিযুক্তরা যদি ঠিক উত্তর না দিতে পারে তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করবেন।
ইউটিউব চ্যানেল এমটি ওয়ার্ল্ড, দেশ বাংলা এবং ব্যাক্তি সাদিয়া, রাইমা ইসলাম শিমুর নামে অভিযোগ করেন জায়েদ।
মিথ্যা কথা ছড়ানোর মাধ্যমে তারা শুধু জায়েদ খানকেই নয় বরং শিল্পী সমাজকে সাধারণ মানুষের কাছে কলুষিত করছে বলে মনে করেন জায়েদ।
এর আগে ২০১৮ সালে জামাল পাটোয়ারির নামের একজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন জায়েদ খান। গত বছরের আগস্টে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। ওই মামলায় জামাল পাটোয়ারি জামিনে আছেন বলে জানান জায়েদ খান।