বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাকিবই সেরা পাণ্ডব

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ১১:৫৩

ফুরাচ্ছে অপেক্ষার প্রহর। জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপন করায় আইসিসি এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে সাকিবকে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে ২৮ অক্টোবর। সাকিবের ফিরে আসা উপলক্ষে নিউজবাংলার বিশেষ এই আয়োজন। আজ আমরা তাকাচ্ছি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সঙ্গে সতীর্থদের পরিসংখ্যানের তুলনায়।

২০১৫ পরবর্তী সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটে যে মজবুত অবস্থান বাংলাদেশের তার কারিগর ধরা হয় ক্রিকেটের ‘পঞ্চপাণ্ডব’ খ্যাত মাশরাফি মোর্ত্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। পরবর্তী সময়ে মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, মেহেদী মিরাজদের মতো তরুণদের অভিষেকে স্কোয়াডের ভিত মজবুত হয় আরও।

পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। সংখ্যার বিচারে জাতীয় দলে অভিষেকের পর প্রায় এক দশক পারফরম্যান্সের বিচারে সাকিব আল হাসান ছিলেন ব্যাটে-বলে সবার নাগালের বাইরে। ২০০৭ থেকে ২০১৪ এই আট বছরে টেস্ট এবং ওয়ানডেতে সাকিব ছিলেন টাইগারদের ধারাবাহিকতার প্রতীক।

সাকিবের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের পারফরম্যান্সের তুলনায় মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ থাকলেও বোলিংয়ে ওয়ানডেতে শুধু আছেন মাশরাফি আর আবদুর রাজ্জাক। টেস্টে কেউই নেই। তাইজুল ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে সাকিব ছাড়া আর কোনো বোলারই টেস্ট দলে নিয়মিত হতে পারেননি। ২০০৯ সালের পর ইনজুরির কারণে মাশরাফিও কোনো টেস্ট খেলেননি।

ব্যাট হাতে অদ্বিতীয়

২০০৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সময়ে তামিম ইকবাল ওয়ানডেতে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন ৩১টি। ফিফটি ২৭টি ও সেঞ্চুরি চারটি। মুশফিকুর রহিম এই সময়ে ফিফটি করেছেন ১৮টি। সঙ্গে দুটি সেঞ্চুরি। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১১ ফিফটি করলেও পাননি সেঞ্চুরি।সাকিব এ সময়ে করেছেন ২৫ ফিফটি ও ছয় সেঞ্চুরি। তামিমের সমান পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস তার ওয়ানডেতে। গড়ের হিসাবে সাকিব এগিয়ে অনেকখানি।

২০০৭ থেকে ২০১৪ - এই আট বছরে সাকিবের গড় ৩০ এর নিচে নামে ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে। এর মধ্যে ২০১৩ সালে খেলেছেন মাত্র তিন ম্যাচ। দুই বছর সাকিবের ব্যাটিং গড় ছিল পঞ্চাশের বেশি।

তামিমের গড়ও ৩০-এর নিচে এই আট বছরে নেমেছে মাত্র তিনবার। কিন্তু কোনো বছরই গড় পঞ্চাশ ছাড়ায়নি এই বাঁহাতির। মুশফিকের গড় এই আট বছরে ৩০ পেরিয়েছে তিন বার। চল্লিশের বেশি ছিল একবার।

বর্তমান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর গড় ত্রিশের নিচে ছিল তিন বার। একবার পেরিয়েছে ৭০। সেটি অবশ্য আট ইনিংসের পাঁচটিতে অপরাজিত থাকায়।টেস্ট ক্রিকেটের পরিসংখ্যান আরও সাকিবমুখী। আট বছরে সাকিবের ফিফটি ১৭টি; সেঞ্চুরি তিনটি। তার চেয়ে এগিয়ে তামিম। ১৭ ফিফটির সঙ্গে ছয় সেঞ্চুরি তার। মুশফিক একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তিনবার। ফিফটি ১৪টি।

মাহমুদুল্লাহ সেঞ্চুরির দেখা পান একবার। ফিফটিও ১১টি। মাহমুদুল্লাহর টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা সাকিবের চেয়ে দেরিতে। তার অভিষেক হয় ২০০৯ সালে।

গড়ের হিসাবে সাকিব আবারও এগিয়ে যোজন যোজন। তার গড় এই আট বছরে চল্লিশ পেরিয়েছে পাঁচ বার। বাকি তিনজনের সব মিলিয়ে পাঁচ বার। মাহমুদুল্লাহর গড় তিন বার ছিল ১৫ কিংবা আরও কম। মুশফিক পঞ্চাশ ছাড়ান একবারই, ২০১৩ সালে। তামিমের গড় চল্লিশ ছাড়িয়েছে মাত্র দুবার। প্রথমবার ২০১০ ও দ্বিতীয়বার ২০১৩ সালে।আরও পড়ুন: সাকিবের সেরা পাঁচ

বোলিংয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী

ব্যাটিংয়ে সাকিবের সঙ্গে তুলনা করবার মতো ছিলেন তিন জন। বোলিংয়ে সেখানে ওয়ানডেতে মাশরাফি ও আবদুর রাজ্জাক। টেস্টে নেই কেউই।২০০৭ থেকে ২০১৪ সময়কালে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সাকিবের। মাশরাফি উইকেট পান ১১২টি। ইনজুরির কালো থাবায় ম্যাচও তিনি খেলেছেন কম। আরেক বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক এই আট বছরে শিকার করেন ১৫৫ উইকেট। সাকিবের ঝুলিতে ১৬৭টি উইকেট।আট বছরের মধ্যে বছরে ২০টির বেশি উইকেট পেয়েছেন সাকিব ছয় বার; রাজ্জাক পাঁচ বার। ব্যবধান বিস্তর না হলেও ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও সাকিব এই সময়ে ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক।

লাল বলেও সাকিব একচ্ছত্র অধিপতি। তার ২১০ উইকেটের সবচেয়ে কাছে আছেন তাইজুল ইসলাম। সেই তাইজুলও সাকিবের থেকে পিছিয়ে ৯৬ উইকেটে। সাকিবের বোলিং গড় ৩১.১২। তাইজুলের ৩৩.১৭। স্ট্রাইক রেটে সামান্য এগিয়ে তাইজুল সাকিবের ৬২-এর বিপরীতে তাইজুলের ৬১.৮।

এ বিভাগের আরো খবর