চট্টগ্রামের বাঁশখালীর শীলকূপে নারী কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত তরুণ মো. এহছানকে আসামি করে সোমবার রাত ১০টার দিকে মামলাটি করেন নিহত ফাতেমা বেগমের স্বামী মোস্তাক আহমেদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাবিজ-সংক্রান্ত বিষয়ে নারী কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত এহছানকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন নারী কবিরাজের স্বামী। মামলার পর আটক তরুণকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হবে।’
এর আগে সোমবার সকালে ফাতেমাকে কুপিয়ে হত্যা করেন এহছান। এই ঘটনায় আহত তিনজন হলেন ফাতেমার দুই মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস পাখি, বৃষ্টি ও আত্মীয় রাবেয়া আক্তার।
ফাতেমা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসা করতেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ ছফা জানান, এলাকার এক মেয়েকে পছন্দ করতেন এহছান। অনেক চেষ্টা করেও ওই মেয়ের মন গলাতে না পারায় দ্বারস্থ হন ফাতেমার কাছে।
কবিরাজ তাকে ডাবপড়া ও একটি তাবিজ দেন। কিন্তু এতেও ধরা দেননি তার পছন্দের সেই মেয়ে।
ইউপি সদস্য আরও জানান, সোমবার সকালে আবারও একটা ডাব নিয়ে ফাতেমা বেগমের বাসায় যান এহছান। এহছানের কথামত ডাবটি পড়ে দেন ফাতেমা। ততক্ষণ সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, কোনো কথা কাটাকাটিও হয়নি দুজনের মাঝে।
এহছান হঠাৎ পাশে থাকা একটি দা নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন ফাতেমাকে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তার দুই মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস পাখি ও বৃষ্টি। আসেন আত্মীয় রাবেয়া বেগমও। তাদেরকে এলোপাতাড়ি কোপান এহছান।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শীলব্রত বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গুরুতর অবস্থায় ফাতেমাকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার দুই মেয়ে ও এক আত্মীয়কে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবির বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা ওই তরুণকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ডাবপড়া ও তাবিজ কাজ না করায় তিনি ফাতেমাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নিশ্চিতের জন্য তদন্তের প্রয়োজন।’