বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নদীতে ভাসল বিজুর ফুল

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২২ ১২:০৬

সারনন চাকমা বলেন, ‘বুদ্ধের উদ্দেশে ফুল পূজা করে চাকমাদের বিজু উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আগামীকাল মূল বিজু তার পরের দিন গজ্জাপজ্জা বিজু। আশা করি এ বছর খুব আনন্দ করে বিজু উদযাপন করব।’

ভোরবেলা সেজেগুজে ফুল সংগ্রহ করতে বেরিয়ে পড়ে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা। তারপর সেই ফুল চেঙ্গী নদীতে ভাসিয়ে শুরু হয় বিজু উৎসব। চাকমাদের কাছে এটি ‘ফুল বিজু’ নামে পরিচিত।

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের খবংপুজ্যা গ্রামে প্রতিবছর এভাবেই পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছর বরণ করেন চাকমা সম্প্রদায়ের মানুষ।

তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর পালন করা হয়নি চাকমাদের অন্যতম এ সামাজিক উৎসব। দুই বছর পর বাহারি ফুলের উৎসবের রঙে মেতেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দারা।

খাগড়াছড়ি সদরের খবংপুড়িয়ার চেঙ্গী নদীর পাড়ে মঙ্গলবার ভোরে ফুল বিজুতে যোগ দেন হাজারও মানুষ। তবে এ বিজু উৎসব কেবল চাকমাদের নয়, পাহাড়ের সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে।

চৈত্র শেষের আগের দিন শুরু হয় এ উৎসব। চলে তিন দিন ধরে। ত্রিপুরা সম্প্রদায় বৈসুক ও মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাইয়ের মাধ্যমে বরণ করে নতুন বছরকে। প্রায় এক সপ্তাহ উৎসবে মেতে থাকেন পাহাড়িরা।

ফুল বিজুতে চেঙ্গী নদীর পাড়ে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করে স্থানীয় শিল্পীরা।

এ ফুল বিজুতে এসেছেন সংগীতশিল্পী পায়েল ত্রিপুরা।

তিনি বলেন, ‘গঙ্গাদেবীকে ফুল উৎসর্গ করে পুরানো বছরের গ্লানি দূর করতে ও নতুন বছরে সমৃদ্ধি আশা করে প্রার্থনা করেছি। জীবদ্দশায় আর কোন মহামারি যেন উৎসবকে ম্লান না করে সে প্রার্থনাও করেছি।’

সারনন চাকমা নামে আরেকজন বলেন, ‘বুদ্ধের উদ্দেশে ফুল পূজা করে চাকমাদের বিজু উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বুধবার মূল বিজু তার পরের দিন গজ্জাপজ্জা বিজু। আশা করি এ বছর খুব আনন্দ করে বিজু উদযাপন করব।’

ফুল বিজু দেখতে আসা উজ্জল বড়ুয়া বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির ফুল বিজু। উৎসবের বাহারি ফুলের মতো পুরো বছর যেন সকল জাতি-গোষ্ঠী সম্প্রীতির বন্ধনে থাকতে পারে সেটি আশা করি।’

এ বিভাগের আরো খবর