কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওয়ে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে হত্যার শিকার প্রবাসী মঞ্জুর আলমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
ঈদগাঁওয়ের উত্তর মাইজপাড়া মাঠে জানাজা শেষে নিজ বাড়ি নতুন মহাল ঘোনাপাড়া জামে মসজিদসংলগ্ন কবরস্থানে মঞ্জুর আলমের দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রবাসী মঞ্জুর আলম সদরের চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন মহাল ঘোনাপাড়ার বাসিন্দা।
তার বড় ভাই বদিউল আলম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ঈদগাঁও থানা-পুলিশ।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, এ ঘটনায় বদিউল আলম শুক্রবার ঈদগাঁও থানায় ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলায় মঞ্জুর আলমের শ্বশুর নুরুল আজিম, দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা আক্তার, তার মা মনোয়ারা বেগম, ভাই কায়েস, বোনসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
- আরও পড়ুন: মারধরের শিকার সেই প্রবাসীর মৃত্যু
ঘটনার দিন আটক করা হয় ৮ জনকে। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত শুক্রবার সকালে ঈদগাঁওয়ের উত্তর মাইজপাড়ায় মঞ্জুর আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা আক্তারের বাবা নুরুল আজিম, মা মনোয়ারা বেগম, ভাই কায়েস, বোনসহ মঞ্জুর আলমকে মারধর করেন।
স্থানীয় লোকজন পরে মঞ্জুর আলমকে মুমূর্ষু অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা মঞ্জুর আলমকে ২২ মে সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
চট্টগ্রাম নেয়ার পথে দুপুর ১২টার অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই মঞ্জুর মারা যান।
এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নজরে আসে পুলিশের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঞ্জুর আলম দীর্ঘদিন প্রবাসে কাটিয়েছেন। প্রবাস জীবনে যা আয় করেছেন, তা দেশে দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা আক্তারের নামে পাঠাতেন।
তার স্ত্রী নিজের নামে ঈদগাঁয়ের উত্তর মাইজপাড়ায় কিনেছেন জমি। আর সেখানেই বানিয়েছেন বহুতল ভবনও।
সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কারণে ছুটিতে আসার পর আর বিদেশ যাওয়া হয়নি মঞ্জুর আলমের।
এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। স্বামীর সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে স্ত্রী রুনা আক্তারের।
একপর্যায়ে ২১ মে সকালে স্ত্রী রুনা আক্তারের বাবা, মা, ভাই বোনসহ হত্যার উদ্দেশ্যে মঞ্জুর আলমকে মারধর করেন।