বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউএনওর ওপর হামলা: রবিউলের জামিন নাকচ

  •    
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৫৪

সহকারী সরকারি কৌঁসুলি শাহ দোরখ শান নিউজবাংলাকে জানান, ইউএনওর ওপর হামলার মামলার কার্যক্রম জেলার আমলি আ‌দালত-৭ থেকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ আদালত আগামী ২৯ ডিসেম্বর রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানীর দিন ঠিক করেছেন।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার মামলায় আসামি রবিউলের জামিন নাকচ হয়েছে

বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালত রবিউলের জামিন নাকচ করে দেন। একই সঙ্গে আদালত ২৯ ডিসেম্বর রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানীর দিন ঠিক করেছেন।

দিনাজপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রবিউলকে আদালতে আনা হয়। রবিউলের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করেন।

সহকারী সরকারি কৌঁসুলি শাহ দোরখ শান নিউজবাংলাকে জানান, ইউএনওর ওপর হামলার মামলার কার্যক্রম জেলার আমলি আ‌দালত-৭ থেকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ আদালত আগামী ২৯ ডিসেম্বর রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানীর দিন ঠিক করেছেন।

২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাটের সরকারি ভবনে তৎকালীন ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওয়াহিদাকে ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।

৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। ওই দিন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভূঞা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

তার দুই দিন পর পুলিশ যুবলীগ নেতা আসাদুল ইসলাম ও রং মিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম ও সান্টু কুমারকে গ্রেপ্তার করে। নবিরুল ও সান্টুকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শিশির কুমার বসুর আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক তাদের সাত দিনের রিমান্ডে দেন।

১১ সেপ্টেম্বর দায়িত্বে অবহেলা ও কাজে গাফিলতির অভিযোগে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই দিন ঘোড়াঘাটের ইউএনওর বাসভবনের সাবেক কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়।

১২ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইসমাইল হোসেনের আদালতে রবিউলের ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়। পরে রবিউলের আরও সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে বিচারক তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান।

২০ সেপ্টেম্বর তিন দিনের রিমান্ড শেষে দিনাজপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেন রবিউল।

২১ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে রবিউলকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এ বিভাগের আরো খবর